নাটোরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমানকে র্যাবে দেয়ার হুমকি দেওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রমজান আলী আকন্দের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। সুজন সভাপতি, নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ ও মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতাউর রহমান ভয়েজ রেকর্ড সহ ওই জিডি দায়ের করেছেন। সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নে ছবিরন-গুলজান নামে একটি স্কুল এন্ড কলেজ রয়েছে। তিনি গুলজানের সন্তান ও ছবিরনের ভাগ্নে। তার মা এবং খালার নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলার জন্য গত ২ নভেম্বর নাটোরের জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রমজান আলী আকন্দের কাছে মোবাইলে ফোন করেন। এ সময়ে শিক্ষা অফিসার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনি অভিযোগ দিছেন কি জন্যে? আপনি কে? আপনার অভিযোগ দেওয়ার কারণডা কি, আপনি স্কুলের পিছনে লেগে আছেন কেন, আমরা আছি শিক্ষা ডির্পাটমেন্টের লোক, আমরা বুঝমু, আপনার উদ্দেশ্য কি, আপনি লেগে আছেন কেন? আপনার স্বার্থটা কি? আপনার এত সাদ বাদলো ক্যা, আপনি অভিযোগ দিলেন কেন? আপনার মত খারাপ লোকের জন্য দুনিয়াটা না। আপনি শিক্ষক মানুষ এত বেয়াদব কেন? এক বারে সাইজ করে দিবো কিন্তু, শালা ফাজিল মার্কা লোক, শিক্ষক মানুষ দুদিন পর মরে যাবে, ফাজলামু মারার জাগা পান না? র্যাবে দিয়ে দিব কিন্তু?’ এসব অকথ্য ভাষায় হুমকি দেয়ায় সুজন সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। এব্যপারে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইলে কথোপথনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। হুমকি দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তার সাথে আতাউর রহমানের জমি-জমা বা ব্যবসায়িক কোনো বিরোধই নেই যাতে করে তিনি এমন কথা বলতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ভয়েজ রেকর্ড না শুনে বলতে পারবেন না ওই কন্ঠস্বর তারই কি না। এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, জিডির বিষয়টি তারা তদন্ত করতে শুরু করেছেন। তদন্ত শেষ হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।