চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবী

আজ ৭ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদ গেটে দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম পরিষদ চাটমোহর পাবনার উদ্যোগে অবস্থান ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চলমান দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সফল করতে তারা এ অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে।
এ অবস্থান ধর্মঘটে দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃবৃন্দসহ অনেকে অংশগ্রহন করেন। এসময় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক বক্তব্য রাখেন। বক্তবে তিনি পল্লী বিদ্যুতের ভূতুরে বিল বন্ধসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দূর্ণীতি হলে তার প্রতিবাদ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দূর্ণীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে ‘টাকার মেশিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র নয় বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে সংসার পরিচালনা করার পরও তিনি কি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হন ? চাটমোহর সরকারি কলেজে শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় ছেলে মেয়েদের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। কলেজে বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন নয়। দুর্নিতীবাজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ঐতিহ্যবাহী চাটমোহর সরকারি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। কলেজটিকে তিনি ধ্বংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নানা রকম দূর্নিতীর মাধ্যমে কলেজের বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাত করেছেন। আমরা ব্যক্তি মিজানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। তাকে দ্রæত অপসারণ করে সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি। এসময় অংশগ্রহনকারীদের হাতে হাতে শোভা পায় চাটমোহর কলেজ বাঁচাও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দাও, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই করতে হবে এমন সব প্ল্যাকার্ড। এ অবস্থান ধর্মঘট থেকে আগামি ১১ নভেম্বর বিকেল ৩ টায় চাটমোহর পৌরসদরের রাস্তায় মিছিল ও সভা করার সিদ্ধান্ত জানানো হয় এবং তা সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এসময় দুর্নীতি-মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান মাষ্টার, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সাজেদা রহমান, উপজেলা আঃলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা, আসাদুজ্জামান পান্না, বেলাল হোসেন, শেখ ইদ্রিস আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কলেজটি সরকারিকরণ ঘোষণার পর শিক্ষক আত্তীকরণ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের সাথে অধ্যক্ষর বিরোধ শুরু হয়। অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষকেরা মুখ খুলতে শুরু করলে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। সূত্র মতে, অধ্যক্ষ গত ৯ বছরে ৩৫ লাখ টাকা বেতন তুললেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নিতী, ভুয়া বিল ভাউচার করে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে আদালতে।