গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্যারালাইজডে অল্প বয়সেই আমজাদ হোসেনের ডান হাত-পা অকেজো হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন শয্যসায়ী আমজাদের ডায়াবেটিক বেড়ে গিয়ে পুরো শরীর হলদে রঙ ধারণ করেছে। তিনি কোন কাজ করতে পারেন না। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রী আলেয়া বেগম মাঠে কাজ করে যা পান তাতেই কোনমতে সংসার চালাতে হয়। একারণে ডায়াবেটিকের ওষুধ খেতে পারেন না আমাজদ হোসেন।
লাঠিতে ভর করে মঙ্গলবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন আমজাদ হোসেন (৫০)। তাকে দেওয়া হলো এনসিডি কার্ড। এই কার্ড দেখিয়ে আমজাদ হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষা করাতে পারবেন এবং ওষুধ পাবেন। শুধু যে আমজাদ হোসেনকেই এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা নয়। তার মতো এমন দুস্থ্য রোগীদের জন্যই গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে এই সুবিধা চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে দুস্থ্য রোগীদের হাতে এসব এনসিডি কার্ড তুলে দেন নাটোর জেলা আ’লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রবিউল করিম শান্ত বলেন- দুস্থ্যদের কথা বিবেচনা করে এই সুবিধা চালুর উদ্যোগ নেন তিনি। স্থানীয় সাংসদ এতে সহযোগীতা করেছেন। মঙ্গলবার ৩০ জন দুস্থ্য রোগীকে কার্ড প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।