আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের নষ্ট এসির পানিতে ভিজে গেল ঘুমন্ত যাত্রীরা

ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে ঢাকা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচলকারী ৭৫৯ নম্বর আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘গ’ কোচের ১৯ থেকে ২৪ নম্বর বাথে নষ্ট এসির পানি পড়ে চাদর,লেপ ও বালিশ ভিজে এবং বাথের মধ্যে পানি জমে যাত্রীদের ভোগান্তির সৃস্টি হয়।

একই কারণে কোচটির গোটা করিডোরে পানি জমায় করিডোর দিয়ে বাথরুমে যাওয়াসহ স্ভাভাবিক চলাচলেও মারাতœক ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কোচটিতে নষ্ট এসিযুক্ত করার কারণে বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহী পৌঁছা পর্যন্ত যাত্রীদের অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়।


একটি সরকারী কলেজের অধ্যাপক শফিকুল হকসহ‘গ’কোচের ২১ থেকে ২৪ নম্বর বাথের যাত্রীরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন,ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত মূল্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চারটি টিকিট সংগ্রহ করি। ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে আসার পূর্বেই আমরা স্টেশনে উপস্থিত হই।

স্টেশন থেকে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর থেকেই বাথটিতে এসির ঠান্ডা পানি পড়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিছানার চাদর,লেপ,বালিশ ও ব্যাগের কাপচোপড় ভিজে যায় এবং বাথের ফ্লোর, কোচের করিডোর ও পাশের বাথের ফ্লোরেও পানি জমতে থাকে। এতে বিছানায় ঘুমানোতো দুরের কথা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা বা করিডোরে চলাচল করাও দুস্কর হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানানোর জন্য এটন্টডেন্টকেও আসপাশে পাওয়া যায়না। তখন আমরা(যাত্রীরা) কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে কর্তব্যরত কন্ডাক্টর গার্ডকে খবর দিয়ে ডাকা হয়। খবর পেয়ে গার্ড এসে ক্লিনার ও এটেনডেন্টেদের দিয়ে কোন মতে পানি মুচে ফেলানোর চেষ্টা করা হলেও ততক্ষণে আরামে বাথে ভ্রমনের সাধ হারাম হয়ে যায়।

যাত্রীরা আরও বলেন,একদিনে এসি নষ্ট হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে এসি নষ্ট হয়েছে। দায়িত্বশীলদের আগ থেকেই এসিটির সার্ভিসিং করা উচিত ছিল। তিনি প্রচলিত আইন অনুযায়ি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন,আজকে আমরা যেমন ভোগান্তির শিকার হয়েছি,আগামিতে অন্য কোন যাত্রীকে যাতে এমন ভোগান্তির শিকার হতে না হয় সে জন্য রেলপথ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।