মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরব বাজারে লন্ডন প্রবাসী হাজী তৈয়ব আলী‘র দোকানের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে দেয়াল নির্মাণ এর ঘঠনায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে গত ২২ অক্টোবর সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন তৈয়ব লন্ডনীর পক্ষের খুরশেদ আলী, সাজন মিয়া, মবশ্বিও মিয়া, ছুরুক মিয়া, শাবাজ আলী, আব্দুল মিয়া, আবু কালাম, দোলন মিয়াসহ ২১জন। এবং অপর প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের পক্ষের লাল মিয়া ও দৌলত মিয়া আহত হয়েছেন। আহতরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করছেন। ঘঠনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য উভয় পক্ষের ১৬ জনকে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ। প্রায় ৪ঘণ্টা ব্যাপি দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক ও মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন এর যৌত প্রচেষ্টায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয় ভৈরববাজারের বসিন্দারা জানান- ১২নং গিয়াস নগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী হাজী তৈয়ব আলীর মালিকানাধীন দোকানকোটা জবর দখল করে রাতের আঁধারে অবৈধ ভাবে দেয়াল নির্মান করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের রহিম নগর (দাশরাইল) এলাকার ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া। এ ঘটনায় লন্ডন প্রবাসীর পক্ষে মোহাম্মদপুর এলাকানিবাসী তাজুল ইসলাম শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে শ্রীমঙ্গল থানার আব্দুল মালিকসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘঠনাস্থলে এসে প্রতিপক্ষ আনোয়ার মিয়াকে বাঁধা প্রদান করেন। সর্বশেষ ঘঠনার ৪দিন পর অর্থাৎ আজ ২২ অক্টোবর মীমাৎসার জন্য স্থানীয় কালাপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, গন্যমান্য লোকজন বসে পুনরায় এ অবৈধ দেয়াল নির্মানে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় আনোয়ার নিষেধ অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণকৃত অবৈধ দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং ভাংচুর চালায়। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- পুনরায় বিষয়টি মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক ও মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।