শফিক আল কামাল (পাবনা) ॥ পাবনায় গোপন বৈঠক চলাকালে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসালামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্য ও এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৩’ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থানার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে রাবেয়া খাতুন (২৫), কলাগাছি গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে আরিফা খাতুন (২৮), আলোকদিয়া গ্রামের মালেক খানের মেয়ে তানজিলা খাতুন (২০), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার মধ্যপাড়ার আফসার আলীর মেয়ে লুনা খাতুন (২৮), বগুড়া থানার নাড়লী গ্রামের শামছুজ্জামানের মেয়ে শারমিন (২৬), পাবনা সদর থানার বলরামপুর গ্রামের আহম্মেদ প্রামানিকের মেয়ে লাকী(২৪) সাঁথিয়া থানার গৌরি গ্রামের আমিউদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা(১৮), আটঘোরিয়া হাপানীয়া গ্রামের বাকী বিল্লাহ মেয়ে শামিমা নাসরিন(২৮), সাঁথিয়া কাশিনাথপুর নতুনপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব মোল্লার মেয়ে নাজমা খাতুন (২৭), চাটমোহর থানার বোয়ালমারী গ্রামের মুসাব আলীর মেয়ে মাহফুজা (২২), নাটোর জেলার ফাতেমা খাতুন (২২), আসমাউল হুসনা (২৫), রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৩ এলাকার আলাউদ্দিনের স্ত্রীর রুমা খাতুন(৩০)।
পুলিশ জানায়, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫নং সড়কের ১১৯নং বাড়ির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন। দ্বিতল এই বাড়ির নিচ তলায় জামায়াতের নারী সদস্যদের আস্তানা ছিল। এখান থেকে নারী সদস্যরা মেয়েদের সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ৯টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে বৈঠক করা অবস্থায় জামায়াতের ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। ওই আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনসুরাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের পাবনা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা হবে। আটক নারীরা বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।