নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্ষা মওসুমে অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য ও মরন-ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। আর এ সব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অধিকাংশ রাস্তার কার্পেটিংসহ ইটের খোয়া ওঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। চলতি বর্ষা মওসুমে এ সব গর্তে পানি জমে ময়লা ও কাদাপানিতে একাকার অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা গুলো দিয়ে সাইকেল, রিকশা, ভ্যান, চলাচলের সময় চাকা দুমড়ে-মুচড়ে ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বলেছেন,বাগমারায় প্রায় পাঁচশত কিলোমিটার কাচা রাস্তা রয়েছে। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকায় একই বারে সব রাস্তা নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাকাসি জানান, বিশেষ করে উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের নর বেলঘরিয়া পূর্বপাড়া,বামনিগ্রাম উত্তরপাড়া, মঙ্গলপুর, আউচপাড়া,কানাইশহর গ্রামের কাচা রাস্তা গুলো সামান্য বৃষ্টিপাত হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। চলতি আউস মৌসুমে ঘন বর্ষায় কৃষদরে অবর্ণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ গ্রামীণ রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে ওঠায়,কৃষকদের উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে সময়মতো বিক্রয় করতে না পারায় শ্রমিকের মজুরি পরিশোধে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে গৃর্হস্থ্যদের। ভ্যান, রিকশাতো দূরের কথা পায়ে হেটে রাস্তা পারাপার দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকজন কৃষক জানান,তারা ধান কাটাইয়ের জন্য শ্রমিকদের সাথে প্রতিমণে আট কেজি দর-দাম ঠিক হয়, রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়ায় প্রতিমণে দশ কেজি দিতে হয়েছে। তারপরও শ্রমিক সংকট ছিল। তবে দীর্ঘদিন যাবত এসব রাস্তার কোনো সংস্কারের কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ রাস্তা সংস্কারে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবিষয়ে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।