ইয়ানুল রহমান : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে খায়রুল ইসলামের প্রবাসী ছেলে সোবহান হত্যার ১ বছর ৬ মাস ২৫দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে পারিবারিক গোরস্থান থেকে সোবহানের লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহত সোবহানের পিতা খায়রুল ইসলাম জানান, তার ছেলে সোবহান ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মালেয়াশিয়া যায়। সেখানে চায়না কোম্পানি ক্যারেল স্টিল কোম্পানিতে চাকুরি করতে থাকে। এসময় মালেয়াশিয়ায় অবস্থানকারী একই গ্রামের জামির হোসেন ও ইমনের সাথে যোগাযোগ হয়।
গলায় গামছা পেঁচিয়ে ১৪ মার্চ সে আত্মহত্যা করে বলে জামির ও ইমন প্রচার করে। ১৭ মার্চ তার লাশ বাড়িতে আসলে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবর্তিতে খায়রুল ইসলামের মোবাইলে সোবহানকে মারপিট ও নির্যাতনের ভিডিও ও ছবি আসলে তার সন্ধেহ হয়। এক পর্যায়ে তিনি নিশ্চিত হন যে, সোবহানকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জামির, ইমনসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন খায়রুল ইসলাম। আদালত অভিযোগটি ঝিকরগাছা থানার ওসিকে ইজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিলে ঝিকরগাছা থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। যার নম্বর ১৫। তারিখ : ১৫.০৭.২০১৯।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আবু হেনা মিলন অধিকতর তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আবু হেনা মিলন জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাসনা শারমিন বিথির উপস্থিতিতে খায়রুল ইসলামের পারিবারিক গোরস্থান থেকে রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সোবহানের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।