বদিয়ার রহমান,লালমনিরহাট। সম্প্রতি বন্যায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ১৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪৫ টাক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লালমনিরহাট সদর,আদিতমারী,কালীগঞ্জ,হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামসহ এসব ক্ষতির পরিমান জানিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ হায়দার আলী। এগুলো ঘর-বাড়ী (কাঁচা-পাকা) ৭২ কোটি ২৪ লাখ.হাঁস-মুরগী ১১ হাজার ৫শত, শস্য খাতে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা, মৎস খাতে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৮০ টাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ১ লাখ, সড়ক (কাঁচা-পাকা) ২৮ কোটি ৩০ লাখ, ব্রীজ ও কালভার্ট ৩০ লাখ, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৯ লাখ ৫০ হাজার, উচ্চ বিদ্যালয় ১১ লাখ ৪০ হাজার, নলকুপ ২৫ হাজার ৬ শত ৬৫ টাকা, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত ও কমিউনিটি ক্লিনিক খাতে ক্ষতির পরিমান ৪ লাখ টাকাসহ প্রায় ২শ কোটি টাকা। এর মধ্যে জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৭ টি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ হায়দার আলী। অপর দিকে জেলার আদিতমারী, সদর ও হাতিবান্ধা উল্লেখযোগ্য। আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বন্যায় এই উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তি এলাকা বন্যায় ভেঁঙ্গে যায়। ক্ষতির পরিমান অনুয়ায়ী বরাদ্দ না হলে তা থেকে যায়। পরবর্তি বন্য্য়া আরো বেশি ক্ষতি হয়। পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী জানান, এবারে বন্যায় পাটগ্রামে বেশ ক্ষতি সাধান হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ঘুর্ণিঝড়ে সহস্রাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ী-ঘর লন্ড ভন্ড হয়েগেছে। যা চাহিদা অনুযায়ী যে বরাদ্দ তা দিয়ে মিঠানো হিমসিমে পড়তে হয়েছে। হাতিবান্ধা উপজেলা সিঙ্গিমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, এই উপজেলার সিঙ্গিমারী,গুড্ডিমারী,সিন্দুর্ণা,সানিয়াজান সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। যা সামলানো কঠিন ব্যাপার হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, এবারে বন্যায় সরকার পর্যাপ্ত পরিমানে বরাদ্দ দিয়েছে তা যথেষ্ট ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই ক্ষক্ষতির বিষয়টির তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।