প্রিয়াঙ্কা সরকার
ছোট্ট করে তোমার জলবিন্দুগুলো আঙুলে সামলে নিয়েছি বুকে.. তোমার হবো বলে। তোমার দেওয়া প্রথম উপহারটা আজও স্বপ্নলব্ধ গল্প মনে হয়। আমি তো তোমার বুকে অভিমান ছুঁড়ে দেবো বলে, কাতর পিয়র্সন হয়ে গেছি। জীবনের দুঃখগুলো জল বুকে নিয়ে আসে। এই জানো! উদাস ক্ষেপা হাওয়াটা আজ আমার রূপান্তরের মাটির ভালোবাসা হয়ে গেছে৷ তুমি বলেছিলে, “এই তুমি না বলতে পারো না “!! বিশ্বাস করো পারি না। তবে, ভালোই হয়েছে , বাতাসের গায়ে হাত বুলিয়ে বলতে তো পারি, “, তুমি আমার। ” জানো! তোমার জন্য আজকাল বড্ড চিন্তায় আছি। শরীরটা তোমার ভালো নেই। তুমি সচেতন জানি, তবে একটু বেপরোয়া আদুরে, আমার কোল ভালোবাসার আবির তোমার। রাঙিয়ে আনতে তুমি রোজ ইচ্ছা করে বলো, ” আমার শরীর খারাপ। দূর্বল হয়ে যাচ্ছি তো!! “
আমি যে আকাশ। ভরা মেঘে একবুক আদুরে কান্নায় প্রেম করি। তোমার অনুরাগরঞ্জিত কাপড়খানি বুকে আগলে নিয়ে বলি, “তুমিই তো জড়িয়ে আছো আমায় “। দূরে আছো বলেই তো এতো কোল ঘেঁষে আছি। কাছে এলেই তো বুকভরা অভিমানগুলো মিলিয়ে যায়। আমার বুদ্ধ ভূমির মাটি তোমাকে ছুঁয়ে দিলেই তুমি বলো ” ভালো আছি , আজ! “। কাগুজে প্রেম নয় গো, এটা আমার বিশ্বাস৷ একবার সর্বনাশের ঋতুমতী হতে চাই। ওমা! আঁতকে উঠলে কেন!! পাগলকরা রাতজাগা জীবনের ছবিতে তোমাকে আঁকতে চাই। চাওয়াগুলো গর্ভে নিয়ে যাপন করবো তোমায়। নিমন্ত্রণ করছি, আসবে তো! ঈশ্বর প্রেরিত মেঘ ফেরি করে বেড়াতে যাবো। দগ্ধ বনমালী হবে আকাশ। বাতাসে মধুমন্তী সুর৷ নিভৃত পাখির বুকে তুমিহীন শব্দগুলো উড়িয়ে দেবো। বর্ণমালায় কেবল তোমাকে ভালোবাসবো।। স্ফটিক মনের দানায় দানায় নাম রাখতে চাই, অনুবাদহীন আমার প্রিয়.. আমার নৈবেদ্য।।