নাটোর প্রতিনিধি
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় এক হাজার একর জমির সবজি সহ নানা ধরনের ফসল ডুবে গেছে। উপজেলার নওসারা সুলতানপুর, দিয়াড়শঙ্করপুর, চাকলা বিনোদপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর, বাকনাই, বন্দোবস্ত গোবিন্দপুর ও লালপুর চরের শীতকালীন আগাম সবজি মুলা, পুঁইশাক, লালশাক, বেগুন, লাউ, মাস কলাই ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে স¤পুর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া আখ, পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বরই সহ অন্যান্য ফসলের জমিও এখন পানির নিচে। পদ্মা চরের বেশ কিছু বাড়ি ঘরেও পানি উঠেছে।
পদ্মা নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মাঠ জুড়ে থৈ থৈ করছে পানি। সবজি ক্ষেতের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। পেঁপে গাছের গোড়ায় পানি জমায় গাছ মরে নুয়ে পড়েছে। আখ, কলা, পেয়ারা, বরই ক্ষেত পানিতে পরিপূর্ণ। কোথাও কোথাও আখ গাছের মাথা দেখা যাচ্ছে মাত্র। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, মাস কলাই, আগাম সবজি ও পেঁপের সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে। আখ, পেয়ারা, কলা ও বরই ক্ষেতের পানি নেমে গেলে সামান্যতেই রক্ষা পাবেন কৃষক।
নওপাড়া এলাকার চাষী আরিফ হোসেন জানান, পদ্মার পানিতে তার সবজি বাগান তলিয়ে গেছে, পেঁপে গাছ মরে পরে যাচ্ছে। পেয়ারা বাগানেও ২/৩ ফুট পানি উঠেছে। পানি নামলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ হবেনা।
বিলমাড়ীয়া এলাকার রফিকুল ও সেকেন্দার বলেন, ‘অনেক টাকা খরচ করে তার ৪ বিঘা জমিতে আগম মুলা চাষ করেছিলাম, পদ্মার পানিতে সব নষ্ট হয়েগেছে এখন পরিবার নিয়ে কি করব।’
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে আমার এলাকার ৫-৭ টি চরের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রায় ২২.২৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত তলিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। আখ ক্ষেতে পানি ডুকলেও পানি নেমে গেলে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এছাড়া পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক ভাবে বলা যাবে বলে তিনি জানান ’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, রবিবার আমি পদ্মার পানিতে ডুবে যাওয়া চরাঞ্চল পরিদর্শন করেছি। সেখানে শীতকালীন সবজি সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে মানুষের ঘরে পানি না উঠলেও বাড়ি ও বাড়ির আঙ্গীনায় পানি উঠেছে।