মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ
পাবনার চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর হয়ে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক ছিল মরণফাঁদ। দুর্ঘটনা, বাস-ট্রাক, অটোরিকশার জন্য খাদে আটকে থাকা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিনই এই সড়কের কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটতো। দুর্ভোগ ছিল মানুষের নিত্যসঙ্গী।
অবশেষে সে দৃশ্যপট বদলে গেছে। ২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে চাটমোহর থেকে ফরিদপুরের ডেমড়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কের বিটুমিন কার্পেটিং কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রি-চেকিংয়ের কাজ। এই সড়ক সংস্কারের ফলে এই অঞ্চলের ১০ লাখ মানুষ এর সুুফল পাবে বলে সড়ক বিভাগ জানিয়েছে।
পাবনা সড়ক বিভাগের সূত্রানুযায়ী, এলাকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাবনার চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর হয়ে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কারের কাজ হাতে নেয়া হয়। এরইমধ্যে কাজটি শেষ হয়েছে। এখন চলছে রি চেকিং। কোথায় কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
ফরিদপুরের বাসিন্দা ইকরামুল হোসেন (৫৮) বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলাম। অবশেষে সড়কটি সংস্কার হয়েছে।
ভাঙ্গুড়ার বাসিন্দা মোঃ জয়নাল হোসেন বলেন, এতো সুন্দর সড়ক আমাদের কল্পনার বাইরে। অনেক দিন ধরে আমাদের এই সড়কটি অবহেলিত ছিল, আমরাতো ভেবেনেই নিয়েছিলাম আমাদের এই সড়কের কোন অভিভাবক নেই। তিনি আরো বলেন, পাবনার টেবুনিয়া চাটমোহর থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত সড়কের যে অভুতো উন্নয়ন হয়েছে। তা অকল্পনীয়। তা ছাড়া কাজও খুব সুন্দর হয়েছে।
চাটমোহরের বাসচালক জহির হোসেন বলেন, সড়ক ভাঙার কারণে আগে খুব অসুবিধা হতো এমনকি যাত্রীদের কাছে বকাও শুনতে হতো। এখন ফরিদপুর-ভাঙ্গুড়া-চাটমোহর- সড়ক দিয়ে আমার টুর। এখন সুন্দর সড়ক তৈরি হয়েছে।
প্রকল্পের ঠিকাদার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত এবং টেকসই মালামাল ব্যবহার করে এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয়রা সড়কটির কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই সড়কের সুফল মানুষজন পেতে শুরু করেছে।
পাবনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় বলেন, শুধু বিটুমিনাস সারফেসিং নয় এই সড়কের দুই দিকে সামান্য ঢালু করা হয়েছে। ফলে সড়কটিতে পানি জমে থাকবে না। সড়কটি টেকসই হবে। তিনি আরো বলেন, ভাঙ্গুড়ার ভেড়ামরায় বৃষ্টির কারণে সড়কের পাশে এক ফুটের মত সামান্য অংশ দেবে গিয়েছিলো পরে সড়ক রি- চেকিংয়ের সময় ঠিকাদার তা সংস্কার করে ঠিক করে দেন।