মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দুধ বিক্রি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে গরু খামারি ও গাভী পালনকারিরা। দুধ বিক্রি করতে না পারায় অনেকে গাভী বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। উচ্চ বিত্ত হতে নি¤œ বিত্ত পরিবারে এখন উন্নত জাতের গাভী পালন করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমপক্ষে ৪৫ হতে ৫৫ ভাগ পরিবার বাণিজ্যিকভাবে গাভী পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে দুধ প্রক্রিয়াজাত করণের কোন ব্যবস্থা নেই। যে পরিমান দুধ উৎপাদন হচ্ছে সে পরিমান ক্রেতা না থাকায় উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে গাভী পালনকারিরা। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষক তারা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, তাঁর দুইটি উন্নত জাতের গাভী রয়েছে। এক সঙ্গে দুইটি গাভীর বাচ্চা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুধ উৎপাদন হয় ৫০ কেজি। যা ওই এলাকায় বিক্রি করার মত কোন বাজার নাই। তিনি নিজে দুধ বোতলে বা জারিকেনে ভর্তি করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে আসে। এতে করে তাকে চরম হয়রানির এবং বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পৌরসভার কলেজ পাড়া মহল্লার শিক্ষক মিলন চন্দ্র সরকার জানান, সরকারি ও বেসরকারিভাবে দুধ বিক্রি করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তিনি গাভী বিক্রি করে দিয়েছে। অনেক খামারি ও গাভী পালনকারিরা উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের বড় বড় হোটেল ও চায়ের দোকানের সাথে চুক্তি করে নিলেও যথা সময়ে দুধ নেয়া দেয়া না করতে পারায় চুক্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। হোটেল মালিক ঝন্টু সরকার জানান, তাদের মিষ্টি তৈরি করতে যে পরিমান ছানা লাগে তা গোয়ালের নিকট থেকে নিয়ে তাকে। গোয়ালেরা গাভী পালনকারি ও খামারীদের নিকট থেকে দুধ ক্রয় করে নিয়ে এসে ছানা তৈরি করে হোটেলে দেয়। তিনি আরও বলেন, এখন রংপুর হতে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী ছানা তৈরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডাক্তার রেবা বেগম জানান এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। তিনি বলেন, যদি দুধ বিক্রি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে গাভী পালনকারি সমিতির মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ অফিসে জানালে তারা কোন ফার্ম বা দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে দেয়া হবে।