রাজধানী ঢাকার নিকেতনের এ ব্লকের ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর বাড়ি। ভবনের সামনে লেখা রয়েছে, জে কে বি কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড। পাঁচ তলা বাড়িটি দেখলে যে কারো মনে হতে পারে, সেটা রাজপ্রাসাদ। নিজের সেই বিলাসবহুল ভবনে থাকেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জি কে শামীম।
বাড়িটি নিয়ে মানুষের আগে কোনো কৌতূহল ছিল না। তবে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই বাড়ি নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। শামীমকে গ্রেপ্তারের পর নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং একশ ৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় আসে ওই বাড়ি। স্থানীয় লোকজন কৌতূহল নিয়ে ভিড় করেছেন বাড়িটির সামনে।
কারুকাজ করা বাড়িটির গেটের সামনে মানুষের ভিড়। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সাধারণ কোনো বাড়ির মতো নয়। প্রযুক্তি সমৃদ্ধ গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। গেটের ভেতরে গেস্ট রুমে বহু ভিআইপির সঙ্গে শামীমের ছবি টাঙানো রয়েছে।
পার্কিং জোনে রয়েছে বিলাসবহুল তিনটি গাড়ি। দোতলায় ওঠার জায়গায় সুরক্ষিত দরজাও রয়েছে। সেই জায়গা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রেখেছে।
মাদকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইয়াকুব নামের এক বাসিন্দা বলেন, এ ধরনের অভিযানের আশায় ছিল মানুষ। এজন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের টাকা দেশেই থাকুক। কিন্তু শামীমের মতো অবৈধ টাকা উপার্জনকারীরা টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এটা দেশের জন্য ভালো নয়।