ইয়ানূর রহমান : বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষর জালিয়াতী করে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেনাপোল বন্দরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জোয়ার্দার এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী
পাবানার সুজানগর থানার উলাট গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ভুক্তোভোগী
আরশাদ আলম জানায়, তাকে বাংলাদেশ স্থল বন্দরে ফায়ারম্যান হিসাবে চাকুরী
দেওয়ার শর্তে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করেন বেনাপোল স্থল বন্দরের
প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জোয়ার্দার। গত ১৩/০১/১৯ ইং তারিখে বাংলাদেশ স্থল
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার চক্রবর্তীর
স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগ ও যোগদান পত্র প্রেরন করে।যার স্মারক
নং-১৮.১৫.৫২৭০.০২৭.০৭.০৪২.১৭.৮৭/৯৯০। সেখানে তাকে যোগদান করতে বলে
৫/০৩/১৯ তারিখে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভোমরা স্থল বন্দর উপ-পরিচালক
প্রশাসন ট্রাফিক এর কার্যালয়ে। যার জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড- ২০ (৮০২৫-
২০২৫০)।
আরশাদ আলী বলেন,
আমি ওই নিয়োগ পত্র নিয়ে ভোমরা স্থল বন্দরে যোগদান করতে গেলে সেখানকার
কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে দেখে নিয়োগটি সম্পুর্ন ভুয়া। এরপর আমি বার বার
মেহেদী হাসান এর নিকট টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আকুতি মিনতি করলেও সে কোন
কর্নপাত করে নাই। মেহেদী হাসানকে টাকা দিয়েছেন এব্যাপারে আরশাদ আলম এর কাছে
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে এই টাকার দেওয়ার কিছু প্রমানপত্র স্বরুপ
রিসিট ছিল। কিন্তু গত ১৫/০৯/১৯ তারিখে মেহেদী হাসান আমাকে মারধর করে বাসা
থেকে উক্ত কাগজপত্র ও আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মোবাইলে টাকা দেওয়ার
কিছু রেকর্ডও ছিল।
এব্যাপারে
বেনাপোল স্থল বন্দরের প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি
বলেন, আরশাদ আলী একজন প্রতারক। আমি তার নিকট থেকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে
কোন টাকা নেই নাই। বরং বিভিন্ন সময় তাকে আমি টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছি।
বেনাপোল
স্থল বন্দরের পরিচালক ( ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাসের কাছে বিষয়টি জানতে
চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ঘটনা যদি সত্য হয়ে থাকে
তাহলে ভুক্তভোগি বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এর বরাবরে
আবেদেন করে সচিব, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে ও আমাকে অনুলিপি দিলে
বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখবো।