ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী অসুস্থ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা কাচারিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত শিশুরা হলো উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা রোকনপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আব্দুল মোমিন (৮) ও মজনুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম (৮)। এরমধ্যে মোমিনকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোমিন ও মরিয়ম প্রতিদিনের মতো বুধবার বিদ্যালয়ে যায়। এইদিন টিফিনের পরে বাংলা বিষয়ে ক্লাস নিতে শ্রেণিকক্ষে আসেন প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন। শ্রেণিতে মোট তিনজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এসময় আগের দিনের দেয়া বাড়ির কাজ না করায় এবং পড়া বলতে না পারায় প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বেত দিয়ে শিশু দুইটির পিঠে ও হাতে বেদম পেটায়। এতে শিশু দুইটি কান্না করতে করতে বাড়ি এসে মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পিটুনিতে মোমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে উঠলে তাকে হাসপাতালে নেয় তার পরিবার।

মোমিনের বাবা ফজলুল হক বলেন, ‘আমি এর বিচার চাই। এর আগেও আমার বড় ছেলেকে ওই হেডমাস্টার মেরেছিল। আমি ওর কি ক্ষতি করেছি। যে সে আমার ছেলেদের শুধু মারধর করে।’

ওই গ্রামের একজন অভিভাবক শাহিবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধর করা খুবই নিন্দনীয় কাজ। এর আগেও একাধিকবার এই বিদ্যালয়ে এই রকম ঘটনায় শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়েছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।

শিক্ষার্থীদের পেটানোর বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, স্কুলে বেত রাখা হলেও কাউকে মারধর করা হয়নি। এটা অভিভাবকদের মিথ্যা অভিযোগ।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করা সম্পুর্ন নিষেধ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।