আমরা সবাই কম বেশি ডিম পছন্দ করি। কেউ হাঁসের ডিম পছন্দ করি। কেউ বা আবার বেছে নেই মুরগির ডিম। ডিমকে বলা হয়, ‘পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন’। অর্থাৎ পুষ্টির শক্তির ঘর। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। এখানে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী।
ডিমের একটা বিষয়ে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। যারা মুরগির ডিম খান, তারা প্রায়ই বুঝতে পারেন না কোনটা খাবেন- বাদামি নাকি সাদাটা?
আসলে রং আলাদা হওয়ার কারণ লুকিয়ে রয়েছে মুরগির জিনে। সাদা ডিমগুলো আসে সাদা পালকের মুরগি থেকে যাদের রং সাধারণত সাদা বা হালকা। আর বাদামি ডিম পাড়ে বাদামি পালকের মুরগি। মুরগির জিনগত পার্থক্যের কারণেই ডিমগুলোর রং পাল্টে যায়।
তবে ভিন্ন গবেষণাও হয়েছে এই দুই ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে। ভিন্ন গবেষণা মানে ভিন্ন মত। যেমন প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডা.জাগি শর্মা জানান, বাদামি ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর সাদার তুলনায়। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, কোলেস্টেরল বা ক্যালোরির কথা যদি চিন্তা করেন তাহলে বাদামি ডিমই ভালো।
তবে বাদামি ডিমকে মনে করা হয় কৃত্রিমতাবর্জিত। মানে প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিম বাদামি রঙের হয়, এমনটাই বিশ্বাস অনেকের। কিন্তু ভুলে যাবেন না খামারে যত্ন করে মুরগিকে খাওয়ালে সেটা আর ‘অর্গানিক’ থাকে না। আপনারা সবাই জানেন খামারে মুরগির তথা ডিমের সুস্বাস্থ্যের জন্য নানা রাসায়নিক জিনিস মিশ্রিত করে খাওয়ানো হয়। ফলে প্রকৃতিতে পোকামাকড় খাওয়া মুরগির ডিম আর খামারে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিম আলাদা হবেই। ডিমের রঙে কিছু এসে যায় না। বিষয়টি হলো মুরগি বেড়ে উঠছে কীভাবে, সেটা।
এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদামি ও সাদা ডিমের পার্থক্যের কথা।
বাদামি নাকি সাদা
অন্যান্য খাবারের হিসাব যদি করেন, তবে সাদার চেয়ে বাদামিটাই বেশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন- সাদা আটার চেয়ে বাদামি আটা বেশি পুষ্টিকর। সাদা চালের চেয়ে বাদামি চালের ভাত বেশি স্বাস্থ্যকর।
বাদামি ডিমের কুসুমের রং একটু বেশি গাঢ়। কারণ বাদামি ডিম যেসব মুরগি পাড়ে, তাদের বেশি পরিমাণ শস্য খাওয়ানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামি ডিমের পুষ্টিগুণ সাদা ডিমের চেয়ে বেশি। এতে ওমেগা-ফ্যাটি এসিড বেশি পরিমাণ থাকে।