নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুই নারীসহ এক যুবকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার চকিরপাড়া মহল্লা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন,পুঠিয়া উপজেলার কাজুপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর স্ত্রী কলগার্ল মার্জিয়া বেগম (৩০),দুর্গাপুর উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল শহিদ প্রাং (৩৪) এবং তাহেরপুর পৌরসভার চকিরপাড়া মহল্লার রহিদুল ইসলামের স্ত্রী কলগার্ল হারিসা বেগম (৩৫)। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, তাহেরপুর পৌরসভার চকিরপাড়া মহল্লার রহিদুল ইসলামের স্ত্রী হারিসা বেগম নিজ বাড়িতে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার জন্য ঘন্টা প্রতি চুক্তি বাড়ি ভাড়া দিতেন। এবং শনিবার সকালে কলগার্ল মার্জিয়া বেগম ও খদ্দের আব্দুল শহিদ প্রাং হারিসা বেগমের বাড়িতে এসে এক ঘন্টা জন্য ৫শ’ টাকায় ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এসময় হারিসা বেগম কৌশলে মহল্লার লোকজনদের তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এবং পরে শহিদ ও মার্জিয়ার কাছে এক লক্ষ টাকার দাবি করেন। এসময় শহিদ তাকে দশ হাজার টাকা দিতে চাই। কিন্ত হারিসা তাতে রাজি হয় না। এবিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের বাসা বাধে। এবং পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মার্জিয়া,শহিদ ও হারিসাকে আটক করে থানায় নেয়। এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ তাহেরপুর ফাঁড়ি পুলিশ তাদেরকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির না করে বাগমারা থানায় নিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন শ্রেনি পেশার জনমনে নানান প্রতিক্রিয়ার সুষ্টি হয়। এবিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান,ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় পরে তিনি অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে-খ এর ১১৯ ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করে শনিবার রাতে তাদেরকে রাজশাহী জেল হাজতে প্রেরন করেছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।