তাঁরা পরস্পরের ভালো বন্ধু। দুজনের বাড়ি একই গ্রামে। বেশির ভাগ সময় চলাফেরাও করেন একই সঙ্গে। নিদৃষ্ট পেশা বলতে তেমন কিছু নেই। তবে জীবিকার প্রয়োজনে মাঝে মাঝে কাজ কর্ম করে থাকেন। কিন্তু তাঁরা দুজনেই একত্রে নিয়মিত গাঁজা সেবন করেন। গাঁজা সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পযায়ে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে ছুড়িকাঘাত করেন। এতে আহত বন্ধুর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের গুজিরকোনা এলাকায়।
নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম (২২)। তিনি গুজিরকোনা গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। আর অভিযুক্ত বন্ধুর নাম তোবারক মিয়া (২৪)। তিনি একই গ্রামের মৃত হেলালুদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে শফিকুল ইসলাম ও তোবারক মিয়া নিজ গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে গাঁজা সেবন করছিলেন। গাঁজা খাওয়া কম-বেশি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। এক পযায়ে তোবারক শফিকুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা একটি ছুড়ি দিয়ে এলোপাথারি তাঁকে বুকে-পেটে আঘাত করেন। এতে শফিকুল গুরতর আহত হন। স্থানীয়রা শফিকুলের ডাক-চিৎকার শুনে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এ নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে নিহতের বাবা আবু হানিফ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তোবারক পলাতক রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি তোবারক মিয়াকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’