বাংলার মুখ : পাবনা সদর উপজেলার সিংগা গাংকোলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভাংচুর ও ভাড়াটিয়ার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। আহতের নাম উর্মী খাতুন। তিনি মো. আরিফ শেখের স্ত্রী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. আরিফ শেখ ২বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) পাবনা পৌর ১০ নং ওয়ার্ডের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ঝন্টু প্রামানিক এর সিংগা গাংকোলাস্থ বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। গত ১০ই মে বাড়ির মালিক মো. ঝন্টু প্রামানিক এর বন্দুকের গুলিতে ভাড়াটিয়া মো. আরিফ শেখের মামাতো ভাই রেজাউল করিম আহত হয়। এ ঘটনার ভাড়াটিয়া মো. আরিফ শেখ প্রতিবাদ করলে বাড়ির মালিকের সাথে তার বিবাদের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার জের ধরে গত (২১ শে আগস্ট) বুধবার সন্ধ্যায় মো. ঝন্টু প্রামানিক গং ভাড়াটিয়া মো. আরিফ শেখের ভাড়াটিয়া বাসায় হামলা করে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় মো. আরিফ শেখের স্ত্রী উর্মী খাতুন আহত হন। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির সকল জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং মালামাল ভ্যানে করে অন্যত্র ফেলে দিয়ে আসে।
ঘটনার শিকার মো. আরিফ শেখ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা ঝন্টু প্রামানিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলার নির্দেশ দেয়। এসময় আমি জীবন রক্ষায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে তাকে আহত করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা আমার বাসার ফ্রিজ, টিভি, আলমারি, শোকেস, ড্রেসিং টেবিল, খাটসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন এবং নগদ পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও প্রায় ৫০ হাজার টাকার ব্যবসায়ীক মালামাল রেখে আমার ভাড়াটিয়া বাসায় তালা মেরে দেয়। এ ঘটনায় আমি পথে বসে গেছি, সেই সাথে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫জন সহ মোট ১০জনকে আসামী করে পাবনা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বিএনপি নেতা ঝন্টু প্রামানিক, হৃদয় প্রাং, সাজ্জাদ হোসেন, রাণী খাতুন, জান্নাতুল।