ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদদাতাঃ
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত ও পরীক্ষার কোনই ব্যবস্থা নেই। ফলে ৪ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ঈশ্বরদী উপজেলাবাসী ভোগান্তির শিকার ও আতংকগ্রস্থ হযে পড়েছেন। ঈশ্বরদীতে রাশিয়ানসহ প্রায় দুই সহ¯্রাধিক বিদেশীর স্বাস্থ্য সেবাও ঝুঁকির সম্মুখিন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, ইতোমধ্যেই ঈশ্বরদীতে ১ শিশুসহ ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব খায়রুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যানের তনয় দোলন বিশ্বাস রয়েছেন। ঈশ্বরদীর রোগীরা রাজধানী ঢাকা হতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রতিদিন প্রায় ২ শতাধিক রোগী বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। অনেকেই আসেন জ্বর নিয়ে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার জন্য এনএস/ওয়ান এ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি আইজিএম এবং আইজিজি পরীক্ষার কোন সরঞ্জাম নেই। রক্তের প্লাটিনেট কাউন্ট করারও ব্যবস্থা নেই এই হাসপাতালে।
ঈশ্বরদীর তিনটি বেসরকারি লাইফ কেয়ার, লাবিব এবং আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের ব্যবস্থা ছিল। ইতোপূর্বে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হলেও এখন আর হচ্ছে না। কারণ ডেঙ্গু সনাক্তের সরঞ্জামাদির দাম ১৩০-১৫০ টাকা। কিন্তু এগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকার ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ডেঙ্গু পরীক্ষার কাজ বন্ধ করে দিযেছে।
সোমবার হাসপাতালে জ্বর নিয়ে আসা কয়েকজন রোগী বলেন, আমরা এই হাসপাতালে এসেছি ডেঙ্গু হয়েছে কি-না পরীক্ষার জন্য। কিন্তু এখানে ডেঙ্গু জ্বরের কোনো পরীক্ষাই হয় না। এব্যাপারে ডাঃ শামীম জানান, ডেঙ্গু নিয়ে চরম আতংক বিরাজ করছে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক কোন লক্ষণ না থাকলেও জ্বর হলেই রোগীরা এসে ডেঙ্গু পরীক্ষার কথা বলছেন। তবে ঈশ্বরদী হাসপাতালে সাধারণ সিবিসি পরীক্ষা ছাড়া ডেঙ্গু সনাক্ত করণের কোন ব্যবস্থা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।