রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর বাজারের মাছ পট্রির দক্ষিণ গলিতে অবস্থিত রকমারী দেশীয় পান মসলার দোকান। দোকানটি পরিচালনা করে দুর্গাপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন। তার পিতা মৃত দায়েম উদ্দিনও এই পেশায় জড়িত ছিলেন। দুই পুরুষে দুই দশক ধরে এই পেশায় জড়িত আছেন তারা। বলা চলে উপজেলার একমাত্র বৃহত্তম পান মসলার দোকান এটি। একটি সাদামাটা থেকে উন্নত শাহী বা খানদানী মানের পান সাজাতে যতগুলো উপকরণ লাগে তার সবই রয়েছে জালাল ভাইয়ের পান মসলার দোকানে।পন্য গুলোর সবই দেশীয় । এখানে কোন বিদেশী বা ভারতীয় পন্য নেই। দেশীয় এই পন্য গুলোর মান উন্নত হওয়ায় এখানে প্রতিদিন ক্রেতা সমাগম বেড়েই চলেছে। সরেজমিনে এই পান মাসলার দোকনে গিয়ে ব্যতিক্রমী এই পেশায় জড়িত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জালাল উদ্দিন বলেন, পিতার হাত ধরেই তার এই পেশায় আগমন। তারা পাঁচ ভাই । তার বড় ভাই সহ অন্য দুভাই পান চাষ করেন। পান চাষ তাদের পরিবারের একটি পুরানো পেশা। ওই পান চাষ থেকেই তার পিতা পান মাসলার দোকান দিতে আগ্রহী হন। পরে পিতার হাল ধরতে তিনিও এ পেশায় ঢুকে পড়েন। তার মতে পান মসলার দোকানে প্রতিদিন বেচাকেনা ভালোই হয়। তবে খুই স্বল্প আয়ের ও অশিক্ষিত লোকজন খিলি পান বিক্রির পেশায় জড়িত থাকায় তাদেরকে প্রায় বাঁকি দিতে হয়। এসব বাঁকির টাকা তুলেতে তাকে অনেক সময় হিমসিম খেতে হয়। তার দোকানে প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি ও মানের পান মসলা রয়েছে। নারকেলী, জাফরানী, কসমস, আলতাবানু,আরোবীয়ান, ইরানী সহ বিভিন্ন নাম রয়েছে এসব মসলার। এছাড়া পান কাচা ও শুকনা সুপারী, চুন, আলাপাতা, খর রয়েছে । সব পন্যই দেশীয় বলে জানালেন জালাল উদ্দিন। তার মতে আগে ভারত থেকে এসব পন্যের অনেক গুলোই আমদানী হত। এখন দেশীয় ভাবে উন্নত মানে এসব পন্য তৈরি হওয়ায় ভারত থেকে আর কোন পান মসলা আমদানী করতে হয় না। ভবানীগঞ্জ গোড়াউন মোড়ের পান বিক্রেতা আশারফুল, ও কলেজ মোড়ের পান বিক্রেতা শরিফুল জানান, তারা পান মসলা বলতে তাহেরপুরের জালাল ভাইকেই বুঝেন। তার দোকানের পান মসলা ছাড়া তাদের দোকান চলে ন। এছাড়া জালাল ভাই অতি সহজ সরল মানুষ। তার কাছে আমরা বাঁকি কেনা বেচা করে সুবিধা পাই।