জামাইকে ফাঁসাতে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৩

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জামাইকে ফাঁসাতে ছেলেধরা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে সারিয়াকান্দি থানা সংলগ্ন কাঁঠাল তলা এলাকায়।

বুধবার (২৪ জুলাই) গ্রেফতার শ্বশুর সিফার ফকির (৫০), শাশুড়ি বিউটি বেগম (৪০) এবং স্ত্রী শিরিন আকতারকে (২০) আদালতে তোলা হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি থানা সংলগ্ন কাঁঠাল তলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ত্রী-সন্তানকে ভরণপোষণ না দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভ্যানচালক স্বামী রিবুল হোসেন। শ্বশুর সিফার ফকির একজন অন্ধ। ভিক্ষা করে নিজের সংসার চালান। এর মধ্যে মেয়ে শিরিন ও তার দুই বছরের সন্তান চেপেছে তার কাঁধে। রিবুল স্ত্রী-সন্তানের ভরণ পোষণ না দিলেও মাঝে-মধ্যে সন্তানকে দেখতে আসেন শ্বশুর বাড়িতে।

ওইদিন সন্ধ্যার দিকে রিবুল হোসেন অটোভ্যান নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন সারিয়াকান্দি থানার পাশে কাঁঠাল তলা এলাকায়। এ সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রী ও সন্তান। রিবুল তাদেরকে থামিয়ে সন্তানকে কোলে নেন। এক পর্যায় সন্তানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে তারা আপত্তি করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা এক পর্যায়ে ছেলে ধরা বলে চিৎকার দেয় রিবুলের স্ত্রী শিরিন। মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ঘেরাও করে রিবুলকে। গণপিটুনি শুরুর আগেই রিবুল দৌড়ে আশ্রয় নেন সারিয়াকান্দি থানায়। পরে পুলিশ রিবুলের কাছে বিস্তারিত জানার পর আটক করে ৩ জনকে।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, স্বামী ফাঁসাতে ছেলেধরা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আজ (বুধবার) সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।