ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মল্লিকচক গ্রাম থেকে সড়কে হেঁটে যাওয়ার সময় আব্দুল্লাহ (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করা হয়। পরে মাইক্রোবাসের মধ্যে দুর্বৃত্তদের সাথে ওই কলেজছাত্রের ধস্তাধস্তি হলে চার কিলোমিটার দূরে চাটমোহরের নতুন বাজার এলাকায় তাকে ফেলে দিয়ে চলে যায় মাইক্রোবাসটি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ ভাঙ্গুড়া সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ও উপজেলার ম-ুতোষ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের আওয়াল প্রামাণিকের ছেলে। বর্তমানে সে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ঘটনার পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে থানা পুলিশ।
ওই কলেজ ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, আব্দুল্লাহ প্রতিদিনের মত কলেজ শেষে অটোরিকশায় চড়ে মল্লিকচক গ্রামে এসে নামে। সেখান থেকে বাড়িতে হেঁটে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস পিছন থেকে এসে তাকে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসে উঠে আব্দুল্লাহ অপহরণকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে চাটমোহর নতুন বাজারে মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দেয়। সেখান থেকে ভাঙ্গুড়ার এক সিএনজি চালক তাকে গাড়িতে করে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। সেখানে আব্দুল্লাহ ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তবে ঘটনার তিন ঘণ্টা পার হলেও তার জ্ঞান ফেরেনি ।
এদিকে এ ঘটনায় আব্দুল্লাহর পরিবার ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসানুর রহমান ও আশরাফুল আলম ঘটনা তদন্ত শুরু করেন। তবে আব্দুল্লাহর জ্ঞান ফিরে না আসায় তদন্তের কাজ যথাযথভাবে শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহমান জানান, ওই কলেজ ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার শরীরে প্রচ- ব্যাথা রয়েছে।
ম-ুতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, অপহরণের প্রকৃত ঘটনা জানতে সকলেই উৎকণ্ঠার সাথে অপেক্ষা করছে। তবে আব্দুল্লাহর জ্ঞান না ফিরে আসায় প্রকৃত বিষয় জানা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা হাসানুর রহমান জানান, অপহরণের বিষয়টি রহস্যজনক। তবে অপহৃতের জ্ঞান ফিরে আসলে মূল ঘটনা তদন্ত করে বের করা যাবে।