ইয়ানূর রহমান : আর কয়েক ঘন্টা বাদেই ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ঢাকা উদ্দেশ্যে ছুটবে। বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন পরিষেবা ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’।
বেলা সাড়ে এগারটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে ট্রেনটি বেলা একটার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তবে এই যাত্রায় শুধুমাত্র রেলওয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। আর যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে আগামী ২৭ জুলাই থেকে। বেনাপাল-ঢাকা রুটের এই ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে ছয় দিন। সাড়ে সাত ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকায়।
রেলওয়ে সূত্র মতে, ট্রেনটি বেলা সাড়ে একটায় বেনাপোল ছাড়বে। আবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। ১২ বগির ৮৯৬ আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেনাপোল স্টেশন থেকে ছেড়ে যশোর, ঈশ্বরদী জংশন ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য সাময়িক বিরতি দিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের শেষ গšতব্যে গিয়ে থামবে। বেনাপোল এক্সপ্রেস নন এসি শোভন ৪৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৯৩২ টাকা, এসি কেবিন ১৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যাত্রীদের আর কোনো চার্জ দিতে হবে না। আধুনিক এই ট্রেনের কোচগুলো (বগি) ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক।
বেনাপোল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যশোর-থেকে ঢাকার মধ্যে যে ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে তা ঢাকায় পৌঁছানোর মধ্যে ১৪টি স্থানে বিরতি নেয়। এতে যশোর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেখানে চালু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেনটি সাড়ে ৭ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছবে।
বেনাপোল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাঈদুজ্জামান জানান, বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ছেড়ে অপারেশনাল স্টেশন যশোর জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিটের বিরতি করবে। এ সময়ের মধ্যে রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অপারেশনাল কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরে ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে শেষ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে এর আগে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেনটি থামানো হবে।