গুরুদাসপুরে ভারি বর্ষনে তলিয়ে গেল কৃষকের স্বপ্ন

জলায় বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের কারনে পানি নিস্কাশনে বাঁধা। ভারি বর্ষনে মাঠের ফসল পানির নিয়ে তলিয়ে গেছে। নাটোরের গুরুদাসপুরে রোপিত আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সোমবার বেলা ১২টার দিকে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে ওই এলাকার কৃষকরা উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ভারি বর্ষণের কারনে উপজেলার দক্ষিণ নারি বাড়ী, উত্তর নারি বাড়ী, বিন্যা বাড়ী, পাঁচশিশা গ্রামের কান্টাগাড়ী, উত্তর চড়া, কানা পুকুর বিলের রোপিত আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই ক’টা বিলের পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ পাঁচশিশা ব্রীজ থেকে চলনালি হয়ে চরকাদহের ভিতর দিয়ে তালবাড়িয়া, খাকড়াদহ দিয়ে কাটা জলা হয়ে কিনু সরকারের ধর দিয়ে গুমানী নদীতে চলে যায়। ওই জলার পাঁচশিশা ব্রীজ থেকে চলনালি হয়ে চরকাদহের ভিতর দিয়ে তালবাড়িয়া পর্যন্ত একদিকে জলার জায়গা দখল করে অনেকে ঘরবাড়ী নির্মান করেছে। অনেক স্থানে পারাপারের জন্য বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। দখলের কারনে জলাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকারের জন্য বাঁধ দেয়া হয়েছে। এতে কওে ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে এরাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ওই বিল গুলো ছাড়াও খলিশা গাড়ী, শুয়োর গাড়ী, বিল চাকলসহ অন্ততঃ ছোট-বড় ১৫টি বিলের পানি নিস্কাশনের মুখ বন্ধ করার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমন ধান ডুবে গেছে।
পাঁচশিশা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন জানান, ধান পানির নিয়ে তলিয়ে যাওয়ার কারনে চরকাদহ বিলের ভিতর মাছ শিকারের জন্য দেয়া দু’টি বাঁধ তারা কেটে দিয়েছেন। এতে ওই মাছ শিকারীরা তাদেও ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এছাড়াও অনেক জায়গায় বাঁধ রয়েছে। আর জলার ভিতে জঙ্গল হয়েও পানি বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
উত্তর নারি বাড়ী গ্রামের কৃষক মাহাবুবুর রহমান ওরফে মবু সরদার জানান, এই পানি আর দুইদিন থাকলে কার্ত্তিক মাে তার আর কাস্তে নিয়ে মাঠে যাওয়া লাগবেনা। বিবি বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান। ওই এলাকার অন্ততঃ ২০ কৃষকের সাথে কথা বললে তারাও ওই একই দাবি করেন। তারা দ্রুত ওই জলা খননের দাবিও জানান।
ওই জলা এলাকার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মাষ্টার জানান, বিষয়টি শুনেছি। কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রন করা হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।