তেইশ দিনেও উদ্ধার হয়নি ঈশ্বরদী বাজার থেকে অপহৃত দশম শ্রেণীর ছাত্রী স্বর্ণা

ঈশ্বরদী আলহাজ্ব হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও ভেলু পাড়ার ভাজা বিক্রেতা মাসুদ রানার মেয়ে স্বর্ণা অপহরণের তেইশ দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃতা স্বর্ণার মাতা শিউলী খাতুনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন,গত ১৫ জুন দুপুর সাড়ে বারোটায় ভেলুপাড়ার সেলিম রেজার স্ত্রী সুমি খাতুন চরমিরকামারীর ফজলুর রহমানের স্ত্রী আরজিনা খাতুনের সহযোগিতায় স্বর্ণাকে থ্রীপিস কিনে দেওয়ার কথা বলে ঈশ্বরদী বাজারে নিয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ ব্যক্তির মাধ্যমে পাচার করে দেয়। এঘটনার পর গত ১ জুলাই মামলা করা হলে থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোন ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ স্বর্ণা অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে ভেলুপাড়ার সেলিমের স্ত্রী সুমিকে গত ২ জুলাই এবং দিনাজপুর চিরির বন্দর থানার হরানন্দনপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে গত ৬ জুলাই কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে দীর্ঘ ২৩ দিনেও স্বর্ণা উদ্ধার না হওয়ায় তার পরিবারের সদস্য,এলাকাবাসী ও ঈশ্বরদী আলহাজ্ব হাইস্কুলের শিক্ষক, এবং দশম শ্রেণীর সহপাঠিদের মধ্যে উদ্যেগ উৎকন্ঠা বেড়েই চলেছে। স্বর্ণার পিতা মাসুদ রানা, ভাই সোহেল রানা,ভেলুপাড়ার আব্দুল মান্নান,জাহাঙ্গীর হোসেনসহ এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, একটি শিশু পাচারকারী চক্র পরিকল্পিতভাবে স্বর্ণাকে ঈশ্বরদী বাজার থেকে কৌশলে অপহরণ করেছে। তারা স্বর্ণাকে উদ্ধারে সকল মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্বর্ণা অপহরণের বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকি বিপিএম,পিপিএম জানান,স্বর্ণাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে দিনাজপুর,বগুড়া ও গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আশিকুর ও সুমিকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।