ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারের শ্রমিকদের হয়রানী ও ন্যায্য অধিকার না দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রমিকরা। রবিবার সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আফজাল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে শ্রমিক নেতা বলেন, ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারের কর্মকর্তারা শ্রমিকদের বিগত ৭/৮ মাস যাবত শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি করছে। প্রতিমাসের বেতন পরিশোধ না করে ৪/৫ মাস পর বেতন দেওয়া হয়। ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারের ব্যবস্থাপক শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ না করেই বয়স্ক শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। যা শ্রম আইনের পরিপন্থী। ব্যবস্থাপকের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় গত ৩০ জুন হতে বীজাগারের শ্রমিকদের সকল কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি চলতি মৌসুমে পলু পালনের জন্য যে ডিম আনা ছিল তা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষনিক শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
মীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বগুড়া, দিনাজপুর ও রংপুরের শ্রমিক প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত হয়ে ঈশ্বরদীর শ্রমিকদের উপর এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শ্রমিকরা এসময় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, তাদের সাথে আলোচনা করে দাবি না মানলে রাজশাহীর ৫টি রেশম বীজাগারের অধীনে কোনটিতেই শ্রমিকরা কাজ করবে না। সবাই কর্মবিরতি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার, নবাবগঞ্জ বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রুহুল আমিন, মনিরুল ইসলাম ও মীরগঞ্জ রেশমবীজাগার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আইনাল হক প্রমূখ।