জেলার দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তেন গত ৫জুলাই বালু মহালের চাঁদাবাজীকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণা প্রেসক্লাবে বর্তমান উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি) এর মা আনোয়ারা বেগম রীনা তার সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ছেলের পক্ষে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্গাপুর বালুমহাল এর ইজারাদারদের সুনামক্ষুন্ন ও জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর মাধ্যমে তার ছেলের আপরাধকে আড়াল করার হীন প্রচেস্টা করছে।
এরই প্রতিবাদে রোববার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দুর্গাপুর বালু মহালের ১ ও ২ নং ঘাটের ইজারাদার অঞ্জন সরকার লিটন ও আলাল সর্দার গং এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জির সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। দুর্গাপুরে সকল জনগনের ভীতির নাম হল সাদ্দাম বাহিনী তাই সুকৌশলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে উপেক্ষা করে নেত্রকোণা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার মা আনোয়ারা বেগম রীনা। সম্মেলনে উল্লেখ করেন সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জিকে আমরা (ইজারাদারগন) বালুমহালে শেয়ার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেই সেমতে তার পার্টনারদের মাধ্যমে এক কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করে শেয়ার হোল্ডার হওয়ার বিষয়টি ডাহা মিথ্যা। আমরা ইজারাদারগন সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জিকে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দেইনি, শেয়ার বিক্রিও করিনি। গত ১লা জুলাই রাত ১১:৩০ এর দিকে তেরীবাজর বালুঘাটের ১নং রয়েলিটি অফিসের সামনে এসে সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জি সদলবলে অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া হাঁক ডাক করিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় অস্ত্রের মহড়া দিয়া তার সাথে থাকা রিভলবার বাহির করিয়া ফাঁকা গুলিবর্ষন করিয়া এলাকার জনমনে আতংকের সৃস্টির মাধ্যমে আমাদের তেরীবাজারস্থ রয়েলিটি অফিস কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে এবং আমাদের নিকট ৩(তিন) কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে অসীকৃতি জানালে আমাদের এখানে বালুর ব্যবসা করিতে দিবে না বলে আমাদের দশ বার জন কর্মীকে মেরে আহত করে একযোগে অফিস কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে অফিসে রক্ষিত চেয়ার, টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র কুপাইয়া ক্যাশ থেকে তিন লক্ষ বিশ হাজার পাঁচশত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনগনের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিকে দুর্গাপুর থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা থানায় মামলা করি।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা বেগম রীনা তিন কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের কথা অবতারনা করেন। এটাও ডাহা মিথ্যা। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ^াস করি আমাদের ব্যবসা পরিচালনা শতভাগ স্বচ্ছ এবং এ নিয়ে পার্টনারদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই। দুর্গাপুর বালুমহালে এযাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা হইতেছে। কোন কোন সংবাদ পত্রিকায় বিষয়টি দলীয় প্রেক্ষিত বিবেচনা ও দুটি পক্ষ হিসাবে সংবাদ পরিবেশন করে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টি ব্যবসায়ির বিরোদ্ধে চাঁদাবাজের নির্মম থাবা। আমরা কারো প্রতিপক্ষ নই। বর্তমান সরকারকে হীন করার জন্য দলীয় পরিচয় মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার প্রচেস্টা মাত্র। সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জির সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য কারা, তারা কোন দলের, তার বৈবাহিক পরিচয়, দুর্গাপুর বাসী সবার জানা। বিষয়টি নতুন করে বলার কিছু নাই। এভাবে চলতে থাকেলে দুর্গাপুরে কোন সভ্য লোক বাস করতে পারবেনা। একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হওয়া সত্যেও তার এমন কার্যক্রমে জনগন হতাশ।