নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রী কন্যাদের উপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন। এ সময় তার দুই সন্তান ফাতিহা তাসনীম হক ও রাদিয়া ফিদান হকসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মেহনাজ আকতার আমিন অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের ৭অক্টোবর নাটোর সদরের জংলী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে বর্তমানে পুলিশের বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ও ৮ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে র্যাবে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী সর্ম্পকে অশালিন ও কুরুচিপূর্ন কথা বলার ফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে ফজলুল হককে সরকার শাস্তি দেয়। একই বছর তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্তও করে। এ সময় তিনি একাধিক নারীর সাথে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বাঁধা দিলে তিনি স্ত্রী সন্তানদের মারপিট শুরু করেন। ২০২৩ সালে ফজলুল হক পুনরায় ঠাকুরগায়ে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে সেখানকার জেলা হিসাব রক্ষন অফিসের এক নারী কর্মকর্তার সাথে আবারো পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে তোলে। একটি ভাড়া বাসায় সেই নারীর সাথে অবস্থান করার সময় স্ত্রী সন্তানরা কৌশলে সেখানে উপস্থিত হলে ফজলুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রচ- শীতের মধ্যে মধ্যরাতে স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় চলতি বছরের ১৩মার্চ বিগত সরকার তাকে আবারো বরখাস্ত করে। এ ঘটনার পর ফজলুল হক রাজশাহীর বাসায় এসে স্ত্রী সন্তানদের জোর করে অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। তার ভয়ে স্ত্রী সন্তানরা পুলিশ সদর দপ্তরে তদন্ত কমিটির সামনেও হাজির হতে পারেননি। ইতোমধ্যে ফজলুল হক জেলা হিসাব রক্ষন অফিসের কর্মরত সেই নারী কর্মকর্তার সাথে বিয়ে করে নাটোর শহরের মোহনপুরে বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। এ সব ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ছয় মাস থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের কোন খরচ বহন না করে উলটো স্ত্রী ও তার পিতা মাতা ও ভাইদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। এ বিষয়ে ফজলুল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হক বলেন, তার প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি কখনোই কারো সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন না। প্রথম স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন নিজেই পরকীয়ায় লিপ্ত অভিযোগ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রী নানাভাবে তাকে সমাজে অসম্মানিত করছেন।