শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সবাই সহযোগিতা করলে বাংলাদেশের লোকজন ৩৬৫ দিন নিরাপদে থাকবে।রোববার দশমীর দিন পর্যন্ত তো বিশেষ নিরাপত্তা থাকবেই, এরপরেও পুরো বাংলাদেশে নিরাপত্তা থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সবসময় বলে আসছি, এবার পূজা হবে সব থেকে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে।
এবারের পূজায় সরকারি অনুদানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবারই মনে হয় সব থেকে বেশি পূজার জন্য ৪ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এর আগে দুই কি ৩ কোটি- এই পরিমাণ টাকা ছিল।
তিনি বলেন, আরেকটা জিনিস- ভাইয়েরা আমার বলছেন যে নিরাপত্তা; বাংলাদেশের সব নাগরিকেরই ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের এবং এটা অক্ষুণ্ন থাকবে।মাঝে মাঝে হয়তো একটু ছোটখাটো ঘটনা ঘটে, এটা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু এবার একটু আগে পূজা উদযাপন কমিটির মহাসচিব আমাকে বললেন- এরকম কোনো ঘটনা নাই যে, কোথাও কিছু ঘটেছে।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে জানিয়ে বলেন, এবার নিরাপত্তার জন্য আমার পুলিশ-বিজিবি-আনসার-র্যাব; শুধু তারাই নয়- অন্যান্য বাহিনীকে আনা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে ডিপ্লয় করা হয়েছে, নৌবাহিনীকে ডিপ্লয় করা হয়েছে, বিমান বাহিনীকেও ডিপ্লয় করা হয়েছে।যে পরিমাণ দরকার, সেই পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনী দেওয়া হয়েছে। আশা করব, এবারকার পূজা খুবই ভালো হবে এবং আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। আমরা কোনো কিছুই করতে পারব না- যদি আপনারা সহযোগিতা না করেন। আপনারা এখানের মেইন কারিগর।
তিনি আরও বলেন, যদি কোথাও কোনো ঘটনা ঘটে- একেবারে কারেক্ট রিপোর্টটা দেবেন। কিন্তু আমি আশা করব, এবার কোথাও কোনো ঘটনা ঘটবে না। পূজার জন্য একটা ৮ দফা নির্দেশনা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।তারা এই আট দফা নির্দেশনা- যা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে, এটা যেন সবাই ভালোভাবে পালন করে; এটা কিন্তু আমরা নিশ্চিত করব।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি নজরদারি সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।