// আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার আদমদীঘিতে আচরনবিধী লঙ্ঘন অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আদমদীঘির সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি গ্রামে ঢুকে শতাধিক মানুষের রান্না করা খিচুড়ির ড্যাগে ময়লা ফেলে খাবার বিনষ্ট করা ঘটনা তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২মে) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন সরজমিনে তদন্ত করেন ও গ্রামবাসির মুখে শুনে তাদের লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুমানা আফরোজ, আদমদীঘি সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তি বৃন্দ।
উল্লেখ্য: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের রাত গত সোমবার ২০ মে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণা ও গনসংযোগ চলছিল। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন ফোর্সসহ নির্বাচনী আচরণবিধী লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য অভিযানে নামেন। অভিযানে তিনি উপজেলার কাশিমালা গ্রামে খিচুড়ি রান্না করে খাবার অপরাধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আনারস মার্কার সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু প্রামানিকের ২০হাজার টাকা জরিমানা, শিয়ালসন গ্রামের একই মার্কার সমর্থক গোলাম রব্বানির ২০হাজার টাকা ও ছোট জিনইর গ্রামের জামিল হোসেন ও রাসু খন্দকারের পৃথক দুটি মোটরসাইকেলের চাকার টায়ার কেটে নষ্ট করেন। এছাড়া আদমদীঘির কেশরতা গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি চাঁদা তুলে পিকনিক খাবার জন্য খিচুড়ি রান্না করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন ফোর্সসহ ওই গ্রামে প্রবেশ করে কেন খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে। এনিয়ে নানা বিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রান্না করা খিচুড়িতে ময়লা ফেলে প্রায় শতাধিক মানুষের খাবার নষ্ট করে চলে যান। এ সংক্রান্ত একটি স্বচিত্র সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন কেশরতা গ্রামে আসেন এবং উল্লেখিত ঘটনা সরজমিনে তদন্ত করে গ্রামবাসি নিজাম উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম ও ডালিম হোসেনের নিকট লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেন। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুমানা আফরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।