// ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ডের জায়গা অবৈধভাবে বেদখল করায় দখল মুক্ত করতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য বলা হয়েছে। সোমবার সকালে পাবনা পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ নোটিশ জারি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পেয়েছি। নদীর জায়গায় দখল করে মার্কেট, দোকান ঘর বা ইমারত নির্মাণ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জন্য ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রূপসী মৌজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের হুকুম দখলকৃত জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাট/বাড়ী ঘর নির্মাণ করেছেন। আপনার এহেন অপকর্মের কারণে অনেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলে উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা বাঁধসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিগ্রহণকৃত জায়গা জমিতে নির্বিচারে অবৈধভাবে দোকানপাট/বাড়ী ও অবকাঠামো নির্মাণ করে জবর দখল করা হচ্ছে। ১৯৭০ সালের ভূমি ও ইমারত (দখল পুনরুদ্ধার) অধ্যাদেশের ৫ ও ৫(২) ধারামকে অত্র নোটিশ জারীর ০৩(তিন) দিনের মধ্যে অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা সরানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
পাবনা পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী বাজার এলাকায় নদী পারাপারের খেয়া ঘাটের রাস্তা ঘেঁষে প্রায় দেড় বিঘা জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছিলেন একই ইউনিয়নের ভাঙ্গাজোলা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক সায়দার আলী। সম্প্রতি তিনি ওই জায়গাটির কিছু অংশ এলাকার এক বালু ব্যবসায়ীর নিকট ভাড়া দেন। আর বাকি অংশে অবৈধ করাত কল (স’মিল) বসানোর জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেন নিজেই। এর আগে গুমাণী নদী থেকে মাটি কেটে ওই জায়গায় ফেলেন তিনি। এতে স্থানটি অতি ঝুঁকিপূর্ণসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসীরা।