// নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার গুণটি আল্লাহর কাছে খুব পছন্দনীয়। মদিনার আনসার সাহাবিরা এই গুণটি ভালোই আত্মস্থ করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এই নগরীতে বসবাস করেছে এবং ইমান এনেছে, তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে এবং মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না, আর তারা তাদের নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়; নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম। (সুরা হাশর: ০৯)
সুরা দাহরে আল্লাহ তাআলা জান্নাতের বিশেষ কিছু নিয়ামত উল্লেখপূর্বক এসব নিয়ামতের অধিকারীগণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘(তারাই সেসব নিয়ামত লাভ করবে, যারা…) এবং যারা মিসকিন, এতিম ও বন্দীদের খাবার দান করে তার প্রতি (নিজেদের) আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও। (আর বলে) আমরা তো তোমাদেরকে খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। তোমাদের থেকে আমরা কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।’ (সুরা দাহর: ০৯)
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘যার কাছে সামান্য সম্পদ আছে এবং নিজের প্রয়োজনও আছে, তা সত্ত্বেও সে তা সদকা করে দেয়। এমন ব্যক্তির সদকাই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয়। হজরত আবু বকর (রা.)-এর ঘটনা আমাদের সবারই জানা। আল্লাহর রাস্তায় নিজের সব সম্পদ দান করার পর রাসুল জিজ্ঞেস করলেন, ‘পরিবার-পরিজনের জন্য কী রেখে এসেছ?’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে রেখে এসেছি।’
সর্বোপরি অন্য ভাইকে সব সময় নিজের ওপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া এবং তার জন্য তা-ই পছন্দ করা, যা নিজের পছন্দ করা হবে।