// বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের অডিট করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার সম্প্রতি যে নারী জনপ্রতিনিধি আলোচনায় আসেন অধিকার আদায়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনশনে বসে।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে তিনি আবারো অভিযোগ করেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উপজেলা পরিষদের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে তাকে সর্বদাই দূরে রাখা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জানতে চেয়েও তিনি তথ্য না পাওয়ারও অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের কাছে। এছাড়াও সম্প্রতি জাইকা প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের অর্থ তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে উত্তোলনেরও অভিযোগ তোলেন তিনি।
উপজেলা পরিষদের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ফাহিমা আক্তার বগুড়া জেলা প্রশাসককে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান।
নির্বাচনের আগে ভোটের কৌশল হিসেবে এমন প্রতিবাদ কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় তিনি লিখিতভাবে পরিষদের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিক দরখাস্ত করেছেন। এই প্রতিবাদ ভোটের কোন কৌশল নয় বরং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি লড়ছেন। এর আগেও জনগণের অধিকার আদায়ে পরিষদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনশনে বসেছিলেন কিন্তু তাকে সুষ্ঠু সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাই তিনি অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। অভিযোগ করেন উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ জায়গা থেকেই তাকে সুপরিকল্পিতভাবে বয়কট করে রাখা হয়েছে আর দিনের পর দিন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি যার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহিমা আক্তার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সকল কাজে অডিট আপত্তি জানান এবং সঠিক ব্যক্তির দ্বারা সুস্থ তদন্তের আদেশ দানে বগুড়া জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।