বগুড়ায় মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে আগুন, ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

// সঞ্জু রায়, বগুড়া:

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক ভবন মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

জানা যায়, এই মার্কেটের ষষ্ঠ তলায় প্রায় ৩৫/৩৬টি ওষুধের দোকান ছিল অনেকগুলো ছিলো গোডাউন। যার মধ্যে একটি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং বাকিগুলো দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের ব্যবহৃত পানির কারণে নষ্ট হয়েছে অনেক দোকানের মালামাল।

ভবনের ষষ্ঠ তলায় লাগা আগুন দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের কর্মীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি এই আগুনে তাদের কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ছয়তলায় হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। সে সময় মা‌র্কেটের ব্যবসায়ীরা দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। তখন তারা ৯৯৯ এ কল দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আসে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ম‌ঞ্জিল হক বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র প্রথমে আমাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসি। পরে পর্যায়ক্রমে  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে  শাজাহানপুর কাহালু, গাবতলী ও শেরপুরের চারটি ইউনিট যুক্ত হয়। পরে দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মূলত ৬ষ্ঠ তলায় অভি মেডিকেলের গোডাউন থেকে আগুনের সুত্রপাত। সেখানকার সকল মালামাল পুড়ে গেছে। এছাড়া আরো কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দশতলার ছাদে প্রায় ৯জন ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা তাদেরকে নিরাপদে নিচে নামিয়ে এনেছি। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন যেন দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে এবং বড় ধরণের ঝুঁকি ছিল বলেই আমরা আট ইউনিট মিলে কাজ করেছি। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন,  পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও কাজ করেছে। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।’

অভি মেডিকেলের মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে  ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমার পুরো দোকান শেষ। আশেপাশের দোকানের মালামাল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  আমরা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন নির্বাপণের জন্য যে পাইপ ছিল সেই পাইপ দিয়ে পানি আসেনি৷ পরে ধোয়া ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।’

আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, ‘ষষ্ঠতলার আগুনে আমাদের সব মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’