// ইয়ানূর রহমান : শার্শায় সাংবাদিক পরিচয়ে জাহিদ আলম সুমন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
সে নিজেকে সারসা বার্তা নামের এক সাপ্তাহিক পত্রিকা’র সহকারি সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর প্রতি মাসোহারা ২২শত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছে নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই সির্দ্ধার্থ।
শার্শার জামতলা বাজারের একাধিক সুত্র জানান, সাংবাদিক পরিচয় দারকারি জাহিদ আলম সুমনের বাড়ী শার্শার সামটা গ্রামে।
সে সম্প্রতি ৩৫ বোতল ভারতীয় মাদক দ্রব্য ফেনসিডিল সহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। সুত্রটি আরো জানায়, জাহিদ আলম সুমন দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছে। মাদক মামলায় সে বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়ে মাদকের কারবার সহ পুলিশের নামে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর একটি সুত্র জানায়, সুমন দীর্ঘ ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে মাটি বহনকারি ৫০টি ট্রাক্টরের ড্রাইভারদের কাছ থেকে পুলিশের নামে মাসিক ২২শত টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।
একই সাথে পুলিশের নাকের ডগায় ইয়াবা ও ফেনসিডিলের কারবার চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই সির্দ্ধার্থ-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিবেদককে জানান, আমরা হাইওয়ে সড়কের উপর দিয়ে মাটি বহনকারি ট্রাক্টর চলতে বাধা প্রদান সহ মামলা অব্যাহত রেখেছি। রাতের আধারে এ সকল ট্রাক্টর আমাদের চোখ ফাকি দিয়ে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এলাকা বৃহৎ হওয়ায় এরা ফাক ফোকর গলিয়ে হাইওয়ে সড়ক ব্যবহার করছে। সুমনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে।