খানসামায় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য বিতরণে হরিলুটেরঅভিযোগ, চেয়ারম্যান-মেম্বারকে শোকজ


// এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২ নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কার্ড দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা গোপনে পণ্য উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও টিসিবির পণ্য পায়নি অনেকে। এই বিষয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে অনিয়মের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন।

এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাজেদুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমিনুল হকের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নে টিসিবি সুবিধার আওতায় রয়েছেন ৩৫০০ জন। এরা প্রত্যেক ৪৭০ টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ২ কেজি মসুর ডাল ক্রয় করে। তবে পরিবার পরিচিত কার্ড হালনাগাদ চলমান থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের না জানিয়ে নিজের খেয়ালখুশি মত করে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে টিসিবি বিতরণ কার্যক্রমে গিয়ে টিসিবি পণ্য ক্রয়ের সময় ঐ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ৭৬ টি, ৫ নং ওয়ার্ডের ৫ টি, ৮ নং ওয়ার্ডের ৬ টি ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২২ টি প্রকৃত উপকারভোগীদের কার্ডসহ হাতেনাতে দুই ইউপি সদস্যকে শনাক্ত করেন এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পণ্য বিক্রয়কারী ডিলারের লোকজন তালিকা ও কার্ডের সাথে ক্রয়কারীর পরিচয় মিলিয়ে দেখছে না। যিনি কার্ড নিয়ে এসেছেন তিনি প্রকৃত কার্ডধারী কি না তাও যাচাই করছেন না। ফলে এক ব্যক্তির নামীয় কার্ডের পণ্য অন্যজন তুলছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের লিখিত জবাব অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।