নাটোর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের বাঘায় গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজশাহীর বাঘায় গিয়ে চালক আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৪) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে। গতকাল বৃহ¯পতিবার বিকেলে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, প্রায় ২৬ বছর ধরে তিনি নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নাটোর সদর হাসপাতাল, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাঘা থানা সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে নিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। বেলা দুইটার দিকে তিনি বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শরীফা খাতুনের বাড়িতে যান। এর পরপরই তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীফা খাতুন তাঁকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রেশমা খাতুন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাঘার মাইক্রোবাসের চালক তারেক হাসান বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক তাঁর পূর্বপরিচিত। সেই সুবাদে তাঁর ফোন পেয়ে তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে তাঁকে বাঘা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নাটোরে তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের খবর দিলে তাঁরা বাঘায় এসে আবু বক্করের মরদেহ নিয়ে যান।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি শরীফা খাতুন বলেন, আবু বক্করের সঙ্গে তাঁর ধর্ম ভাই-বোনের স¤পর্ক ছিল। এ কারণে তিনি মাঝেমধ্যে তাঁর বাড়িতে আসতেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে আসার পর আবু বক্করের ডায়াবেটিস শূন্য হয়ে যায়। এতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে নাটোর সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি এবং মারা যাওয়া ব্যক্তির ছেলে শাওন ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন বাঘায় আসেন। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই বলে লিখিত দিয়ে লাশ নিয়ে গেছেন। ওই চালক নাটোর থেকে রাজশাহীতে রোগী পৌঁছে দেওয়ার পর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে বাঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মারা যান।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন চালকের মৃত্যুর বিষয়টি ফোন করে থানাকে অবহিত করেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ না করায় নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা তাঁর মরদেহ নিয়ে গেছেন।