// আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ আদমদীঘির সান্তাহার ভাড়া বাসায় রাজিয়া সুলতানা (৪০) নামের স্ত্রী তার স্বামী আব্দুর রশিদ তরকারি কাটা ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার দুই দিন পর আদমদীঘি থানায় নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ (৫৫)কে আসামী করে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাতে নিহতের মা বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার খাড়িয়া নিশিন্দা গ্রামের মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে এই হত্যা মামলা করেন। এই মামলার আসামী নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শ্রীকান্দর গুচ্ছগ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে। সে পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শ্রীকান্দর গুচ্ছগ্রামের আব্দুর রশিদের সাথে বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার খাড়িয়া নিশিন্দা গ্রামের রাজিয়া সুলতানার ৪ বছর পূর্বে ২য় বিয়ে হয়। তারা সান্তাহার চা-বাগান এলাকার জনৈক অঅইয়ুব আলীর মনোয়ারা ভিলা নামক বাসায় ভাড়া থাকতো। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। গত ২৭ জানুয়ারী আব্দুল রশিদ ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ভাড়া বাস থেকে ঢাকায় গিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারী সেই বাসায় পিরে আসে। রাজিয়া বেগমের আগের পক্ষের শ্রাবনি নামের এক মেয়ে ভাড়া বাসার অন্য কক্ষে থাকতো। ঘটনার দিন গত ৯ ফেব্রƒয়ারী বিকেল ৫টায় আবারো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরধরে আব্দুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়া বাসার আঙ্গিনায় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রেপর প্রতিবেশিরা আশংকাজনক অবস্থায় রাজিয়া সুলতানাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় সে মারা যায়। মামলার বাদিনী মর্জিনা বেগম জানায়, তারা গরীব মানুষ নিহতের দাফন ও পরশিদের সাথে পরামর্শ করে মামলাটি দায়েরে বিলম্বে হয়। মামলার তদন্তকারি সান্তাহার ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক বকুল হোসেন জানান, আসামী গ্রেফতারে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অল্প সময়ে গ্রেফতার করা সম্ভব।