চাটমোহরে ফসলী জমিতে অবাধে পুকুর খনন চলছেই

// চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমিতে দেদারসে অনুমোদন ছাড়াই পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফসলী জমিতে একের পর এক এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে স্থানীয় ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে চরা দামে মাটি বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। টপসয়েল কর্তন করায় এর প্রভাব পরবে ফসল উৎপাদনে। নগদ টাকার আশায় জমির মালিকরা বিক্রি করে দিচ্ছেন জমির মাটি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জানালেও মিলছে না প্রতিকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হান্ডিয়াল, ছাইকোলা, মথুরাপুর, ডিবিগ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলী মাঠ থেকে মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। খোলা অবস্থায় ট্রলি, ড্রাম ট্রাকে পরিবহন করা হচ্ছে মাটি। অতিরিক্ত লোডের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাঘাট।
অনুমোদন ছাড়াই উপজেলার কাতুলী মাঠে গত কয়েকদিন যাবত যন্ত্র দিয়ে প্রায় চার বিঘা জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন একটি চক্র। মথুরাপুর এলাকার মামুন ও মুরাদ নামক দুই ব্যক্তির ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ইকবাল হোসেন ও হযরত আলী নামক দুই ব্যক্তি। জানা গেছে, পাচুরিয়া গ্রামের খোকনের এক্সেভেটর মেশিন ভাড়া নিয়ে তারা মাটি কাটছেন নির্বিঘেœ। অনেককে ম্যানেজ করেই নাকি মাটি কাটছেন তারা।
অবৈধ ভাবে মাটি কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন জানান, মাটি কাটার অনুমোদন নাই তার। অনুমোদন ছাড়াই কিভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা খাতুনকে অবহিত করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমকে বিষয়টি জানালে, তিনি কয়েকদিন পূর্বে জানিয়েছিলেন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তবে, সর্বশেষ এ খবর লেখা পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহন করেননি কেউই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদন ছাড়া ফসলী জমি খনন করে পুকুর কাটা রোধে উপজেলা প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।