চাটমোহরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় নৌকার সমর্থকদের হামলার অভিযোগ

// চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি ::
চাটমোহরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেনের সমর্থকরা হামলা, মারধোর ও ইট পাটেকেল নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার (ট্রাক প্রতীক)। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চাটমোহর পৌর সদরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নৌকা সমর্থকদের হামলায় জানে বেঁচে আসছি। হয়তো শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হইনি। জীবনটাই চলে যেতো। এসব ঘটনায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল হামিদ বলেন, ‘শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালি, খৈরাশ, বামনগ্রাম ও কামালপুরে গণসংযোগ এবং পথসভা করি। কাটাখালি ও খৈরাশ এলাকায় আমাদের পথসভা ও গণসংযোগে বাধা প্রদান করা হয়। ৩০/৪০টি মোটরসাইকেল যোগে নৌকা প্রতিক প্রার্থীর অনুসারীরা এসে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় আমরা জীবন বাঁচাতে দ্রুত অন্য পথ ধরে ওই এলাকা ত্যাগ করি।’
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সর্কেল) এর সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা আমার ফোন ধরেননি। এমনকি আমাকে কোন সহযোগিতা করেননি। পরে শুনেছি তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, কিন্তু আমার সাথে তারা দেখা করেননি বা কথা বলেননি। প্রায় প্রতিদিনই আমিসহ আমার কর্মি সমর্থক অনুসারীরা নানা হুমকি ধামকি ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন অভিযোগ দিলে সেটা গুরুত্বের সাথে আমলে নেয়া হচ্ছে না। বালুচর খেলার মাঠে নির্বাচনী সভা করার অনুমতি চাইলেও তারা সে অনুমতি প্রদানে নানা ধরণের টালবাহানা করছেন। সহকারি পুলিশ সুপার আগা গোড়াই পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছেন। তারা আমাকে আইনী সহায়তা দিচ্ছেন না এবং আমার অভিযোগ গুরুত্বের সাথে আমলে নিচ্ছেন না। একের পর এক নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, নেতাকর্মিদের মারধর ও হুমকি ধামকি দেয়া হলেও প্রশাসন থেকে কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, রাষ্ট্রীয় যন্ত্র পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন দাবী করছি। আমার জনপ্রিয়তা ও ভোটের জোয়ারে নৌকার প্রার্থী দিশেহারা হয়ে একের পর এক নগ্ন ষড়যন্তে লিপ্ত আছে। আমি তার এ ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ড বন্ধের জন্য জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি। তা না হলে শান্তিপূর্ন ও অংশগ্রহণমুলক ও গ্রহণযোগ্য ভোট করতে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে আমি পুলিশ কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম জানান, তিনি কি কারণে এসব অভিযোগ করছেন জানি না। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না। আমরা প্রার্থীদের অভিযোগ পেলে সাথে সাথে পদক্ষেপ নিচ্ছি।