বড়াইগ্রামে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে সংখ্যালঘুসহ দুই জনের জমি দখল করে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থরা ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দ্বারিকুশী মৌজার ৭৩৯ ও ৭৪০ হালদাগে একটি ছোট পুকুরসহ মোট ৭৫ শতাংশ ভিটা জমি পাশের চামটা গ্রামের জালালউদ্দিন কিনে খাজনা খারিজ করেন। কিন্তু দ্বারিকুশী গ্রামের মৃত কফিলউদ্দিনের ছেলে আহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আলী ও ইয়াকুব আলী জমিটি তাদের বলে দাবি করে জালাল উদ্দিনকে ওই জমিতে আসতে বাধা দেন। এ ঘটনায় জালালউদ্দিন আদালতে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, একই ব্যক্তিরা ওই জমির দক্ষিণ পাশে ৭৫০ হালদাগে রাফায়েল রোজারিও’র ছেলে অনীল পল রোজারিও’র প্রায় ১০ কাঠা জমিও তাদের বলে দাবি করে। পরে অনীল রোজারিও’ এ ব্যাপারে মামলা করেন। দুটি মামলাই বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু গত ৫-৬ দিন ধরে দখলকারীরা জোরপূর্বক কমপক্ষে ৪০টি সুপারী গাছ ও প্রায় অর্ধশত বাঁশ কেটে নিয়ে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ওই দু’জনের জমিতে পুকুর খনন করছে। ক্ষতিগ্রস্থরা বাধা দিতে গেলে তারা উল্টো তাদেরকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইয়াকুব আলীর ছেলে মবিদুল ইসলাম বলেন, জমি আমাদের, তাই আমরা খনন করছি। তাছাড়া অনীল রোজারিও’র জমি আমরা কাটিনি, ওটা এমনিতেই পুকুরে ভেঙ্গে গেছে। আদালতে মামলার রায়ে যদি তারা জমি পায়, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেবো।
বুধবার এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি উভয় পক্ষকে ডেকে আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কিছু করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু এরপরও তারা জোর করে পুকুর খনন করলে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও আবু রাসেল বলেন, ভিটা জমিতে পুকুর খননের কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া আদালতে মামলাধীন জমিতে জোর করে পুকুর খননের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।