// সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমড়ার সোনতলায় দুই চেয়ারম্যানের পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সোমবার মাইকিং করে দফায় দফায় সংঘর্ষ। পুলিশ মোতায়েন। সকালে স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে সকলকে একত্রিত হতে আহ্বান জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সমর্থকরা। পরে অন্য মাইক থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সমর্থকরা মাইকিং করেন বলে জানান এলাকাবাসী। সাঁথিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে।
জানাযায়, নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও নাগডেমরা ইউনিয়ন আ’লীগের ‘খ’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে হামলা, মামলার বিরোধ চলে আসছিল। হাফিজ চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা দীর্ঘদিন গ্রাম ছাড়া ছিল।
চেয়ারম্যান হাফিজ গত রোববার গ্রামছাড়া সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি আসেন। এ খবর জানার পর পরই সকালে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় শাহ আলম, রতন, সাইদ, বিল্লাল, আবুল ফকির, মজিবর ফকির, ফখরুল, নজরুল, রহম, জিহাদ, আলম, স্ইাফুল, পলাশ সরকারবের বাড়িসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। সংঘর্ষে হাবিল, মতিন, হাসান, মিজানুর, শিহাব, সুমন আহমেদ টুকু, রাকিব, বুলবুল, আবু দায়েন, আব্দুস সামাদ, ফজর আলীসহ অন্তত ১০জন আহত হন। আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রশিদের অত্যাচারে আমি ও আমার সমর্থকরা দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলাম। রোববার আমি ও আমার সমর্থকরা গ্রামে আসলে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও তার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট এবং মরধর করে। আমি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, হাফিজ চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের সাথে করে নিয়ে রোববার গ্রামে আসে এবং আমার আ’লীগের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং মারপিট করে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আনোয়ার হোসেন বলেন, নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রবিবার ও সোমবার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হারুন চেয়ারম্যান পক্ষ বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে।