বগুড়া-৩ আসনে জোটের প্রার্থী আবারো নুরুল ইসলাম, দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি

// বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া-৩ আসন আবারো শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ। তাই এই আসনে আবারো জয়ী হয়ে ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ্যাড. নুরুল ইসলাম তালুকদার।
এদিকে প্রচার-প্রচারণা কিছুটা কম থাকলেও গত ১০ বছরে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলায় সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন সংসদ সদস্য এড নুরুল ইসলাম তালুকদার এমনটাই দাবি তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদ বগুড়া-৩ আসনে এড. নুরুল ইসলাম তালুকদার কে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন প্রদান করেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সেবার। এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ শুরু করেন এই আইনজীবী। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার কারনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী কে হারিয়ে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম তালুকদার। ২য় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে পুনরায় উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
অবহেলিত দুই উপজেলার রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট সংস্কারসহ নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো, চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা উন্নয়ন সহ দুই উপজেলায় শতাধিক রাস্তা নির্মাণ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, একাডেমীক ভবন নির্মাণ, আইসিটি ভবন নির্মাণ সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেন তিনি।
দুপচাঁচিয়ায় ধাপ নিমতলা থেকে কাথালী দক্ষিণ পাড়া, ভালী থেকে হরিনগাড়ী, কাথহালী থেকে ভালী, কোলগ্রাম রাস্তা সহ  দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৮০টির বেশি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন সংসদ সদস্য। এছাড়া আদমদীঘি উপজেলার গ্রামীণ রাস্তা সহ ৭০ টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিং করে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করেছেন। স্কুল কলেজের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার।  তিনি নিজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুধি সমাবেশে অংশ নিয়ে উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুফল শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে আইসিটি ভবন নির্মাণ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। দুপচাঁচিয়ার বড়নিলাহালী বেড়াগ্রাম কলেজ, কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়. উনাহত সিংড়া হাইস্কুল ও মাদ্রাসা, তালোড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলতাফনগন মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাপুর জালাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, কুন্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান সম্পন্ন হয়েছে সংসদ সদস্যর নেতৃত্বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নুরুল ইসলামের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন উচ্চ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী, শহীদ পরিবারের সন্তান নুরুল ইসলাম তালুকদার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠা নুরুল ইসলাম তালুকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী সাবেক এই ছাত্রনেতা পরবর্তীতে আইনপেশায় নিযুক্ত হন। সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু এরশাদের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয়।
দুই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তদারকি করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন জাপার কেন্দ্রীয় নেতা এড. নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি। সংসদ সদস্যর নেতৃত্বে সরকারী বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে গেছে উন্নয়নের সুফল। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নিমূর্ল করতে তিনি কাজ করেছেন। উন্নয়ন এগিয়ে নেয়াসহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে এই দুই উপজেলার উন্নয়ন অব্যহত রাখতে এড. নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপির বিকল্প নাই।