// বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি :
জামালপুরের বকশীগঞ্জে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এক স্কুল ছাত্রী (১৫) বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর ) সকাল ১০ টায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
জানা যায় , গত ৮ ডিসেম্বর রাত সাডে দশটার দিকে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মহনের চর গ্রামের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্য বিবাহ হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে কর্মরত উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জামালপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন ।পরে জামালপুর জেলা কমান্ড্যান্ট বাল্য বিবাহের বিষয়টি তার নির্দেশে বকশীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়। তিনি পরবর্তীতে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আলমাছকে এই বিষয়টি অবগত করেন এবং দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি রাতেই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন । সতর্ক করে আসেন যে বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে কর্মরত উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বলেন যে, আমি সংবাদ পাওয়ার পরই মো. মিজানুর রহমান স্যারকে অবগত করি এবং বাল্য বিবাহটি বন্ধ করা হয়।
আনসার ও ভিডিপি জেলা কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমান জানান ,বাহিনীর সম্মানিত ডিজি স্যারের নির্দেশে রেঞ্জ কমান্ডার স্যারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জামালপুর জেলার আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যেকোনা সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা যেকোনো অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া মাত্রই আমাদের বাহিনীর নিজস্ব চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষ সহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে প্রদান করে থাকি। যারই ফলশ্রুতিতে আমাদের সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বাল্যবিবাহ নামক অভিশাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।