// ইয়ানূর রহমান : যাচাই বাছাই শেষে যশোরের জেলা রিটার্নিং অফিসার আবরাউল হাছান মজুমদার ৬টি নির্বাচনী এলাকার ১৮ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন। তবে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রাপ্ত কোন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়নি।
যশোরের ৬টি নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত ৩০ নভেম্বর ৪৮জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গতকাল যাচাই বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র চুড়ান্ত ভাবে বৈধ ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। আজ সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চলে এই
মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ। এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান সহ প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি আসনের বিপরীতে দাখিলকৃত সকল মনোনয়ন পত্র পুঙ্খানুপুঙ্ক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার আরাউল হাছান মজুমদার।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, যশোর-১ শার্শা আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হাসান, সোহরাব হোসেন (স্বতন্ত্র) ও আক্তারুজ্জামান (জাতীয়পার্টি) । ফলে বর্তমানে এই আসনে ৩ জন
প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও জাকের পার্টির সবুর খান।
যশোর-২ চৌগাছা ঝিকরগাছা নির্বাচনী আসনে ৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই বাছাই শেষে ২ জনের মেনানয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এরা হচ্ছেন চৌগাছা উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব (স্বতন্ত্র) ও বিএনএফ এর
প্রার্থী শামছুল হক। বর্তমানে এই আসনে ৫জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নতুন মুখ ডাঃ তৌহিদুজ্জামান তুহিন , সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহা, জাকের পার্টির মোঃ শাফারুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এ্যাড. আব্দুল আওয়াল।
যশোর -৩ সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী ১০ জন। যাছাই বাছাই শেষে গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার ৬ জনের মনোনয়ন পত্রে নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে তা বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন (স্বতন্ত্র) ও সদর উপজেলা
আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু মোহিত কুমার নাথ (স্বতন্ত্র), জাকের পার্টির মহিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ তৌহিদুজ্জামান, তৃনমুল বিএনপির মো: কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান । বর্তমানে এই আসনে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, জাতীয় পার্টির এ্যাড. মাহাবুব আলম বাচ্চু, ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এ্যাড. সুমন কুমার রায় ।
যশোর-৪ বাঘারপাড়া- অভয়নগর নির্বাচনী আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাছাই বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারীর মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন।
বর্তমানে এই আসনে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত এনামুল হক বাবুল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা ইউনুছ আলী, জাকের পার্টির লিটন মোল্যা, জাতীয় পার্টির এ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম জহির, তৃণমুল বিএনপির নেতা লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এম শাব্বির আহমেদ, এবং বর্তমান এমপি ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু রনজিত কুমার রায় (স্বতন্ত্র)।
যশোর-৫ মণিরামপুর নির্বাচনী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যাছাই বাছাই শেষে গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি
খুজে পেয়ে ৪ জনের মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন কামরুল হাসান বারী
(স্বতন্ত্র), জাকের পার্টির মোঃ হাবিবুর রহমান, হুমায়ুন সুলতান (স্বতন্ত্র) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন লাভলু (স্বতন্ত্র)।
বর্তমানে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করছেন। এরা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বাবু স্বপন ভট্টাচায্য চাঁদ এমপি, জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি আলহাজ¦ এস এম ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র),ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নেতা বিথী মল্লিকা, ইসলামী ঐক্যজোটের
নেতা হফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী, তৃণমুল বিএনপির আবু নছর মোহাম্মদ মোস্তফা, ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এ হালিম।
যশোর-৬ কেশবপুর আসনে মনোনয়নপ্রত্র জমা দিয়েছিলেন ৬ জন প্রার্থী। যাছাই বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার নানা ত্রুটি খুজে পেয়ে ২ জনের মনোনয়নপত্রে বাতিল করেন। এরা হচ্ছেন জেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ (স্বতন্ত্র) ও হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম (স্বতন্ত্র) । বর্তমানে এই আসনে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিন চাকলাদার এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আমির হোসেন(স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির জি এম হাসান ও জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান সাঈদ ।#