// বছরের শেষ সময় এলে বিয়ের সংখ্যা বাড়ে। আর তাই একে বিয়ের মৌসুম বলে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এই সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। জীবনে চলার পথ আরও সহজ-সুন্দর আর গোছানো হয়ে ওঠে যখন পাশে থাকেন একজন উপযুক্ত সঙ্গী।
মানুষ সামাজিক জীব। জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একজন মনের মতো সঙ্গীর স্বপ্ন দেখেন কম-বেশি সবাই। বিয়ে করে সুখী হবেন না দুঃখী তা নির্ভর করে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বোঝাপড়া আর ঘনিষ্ঠতার ওপর।
বিয়ের উপযুক্ত বা পার্ফেক্ট বয়স কোনটি? এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। বিয়ের আদর্শ বয়স নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন কিছু তথ্য যা চমকে দেবে সবাইকে।
গণিতভিত্তিক এই গবেষণায় গণিতবিদরা একটি ফর্মুলা বের করেছেন, যা থেকে সহজেই বের করা যায়, কোন বয়সে বিয়ে করা আদর্শ বা পারফেক্ট।
টম গ্রিফিথ্স এবং ব্রায়ান ক্রিশচিয়ান তাদের বই ‘অ্যালগোরিদমস টু লিভ বাই: দ্য কম্পিউটার সায়েন্স অব হিউম্যান ডিসিশনস’-এ এই বিশেষ ফর্মুলার কথা তুলে ধরেছেন। যা থেকে বিয়ের আদর্শ বয়স বের করা যাবে।
ফর্মুলা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ে সফল হবে বেশি। কীসের ভিত্তিতে এমন দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা? গণিত বিশেষজ্ঞদের এই ফর্মুলার পেছনে যুক্তি একদম ভিন্ন রকম।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৪০ বছরের মধ্যে যদি কেউ জীবনে কিছু কাজ শেষ করতে চান এক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশ শেষ করতে পারলেই বিয়ে করা উচিত। এমনভাবেও বলা যায়, কেউ যদি ঠিক করেন ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে কিছু করবেন, এক্ষেত্রে ২২ বছর বয়সকে বিয়ের জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হবে।
২৬ এর আগে বিয়ে নয় কেন? টম ও ব্রায়ানের মতে ২৬ বছর বয়সের আগে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া সবচেয়ে বেশি হবে। কথায় কথায় তর্ক হবে দুজনের মধ্যে।
তবে এই তত্ত্ব মানতে রাজি নয় অনেকে। তাদের মতে, ২০ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে সবার চরিত্রেই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। ২৬ বছরের পরও পছন্দ-অপছন্দের পরিবর্তন হতে পারে।
অন্য এক গবেষণায় অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে, ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বিয়ে করলে সেই জুটি সুখী হবে। সেই গবেষণা অনুযায়ী বিয়ের আদর্শ বয়স ২৮-৩২।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী নিকোলাস এইচ. ওলফিঙ্গার আবিষ্কার করেন যে বিবাহবিচ্ছেদ এড়াতে চাইলে বিয়ের উপযুক্ত সময় ২৮ থেকে ৩২ এর মধ্যে। ওলফিঙ্গারের বিশ্লেষণে আরও জানা গিয়েছে যে ৩২ বছর বয়সের পর প্রতি বছর দম্পতির বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৫% বৃদ্ধি পায়।