ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে ছারছীনা দরবার শরীফের অবদান সর্বশীর্ষে-জাতীয় নের্তৃবৃন্দ।

// ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমান : আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) মুনাজাপূর্ব আলোচনায় উপস্থিত লাখ লাখ জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনারা এখানে এসেছেন আল্লাহর রেজমন্দি হাসিলের জন্য। ঈমান ও আক্বীদা দুরস্থ করে নিয়মিত তরীকা মশক করে আমলী জিন্দেগী গঠনের মাধ্যমেই আল্লাহর রেজামন্দী হাসিল করা সম্ভব। তিনি সমবেত জনতাকে গুনাহ থেকে মাফের জন্য তাওবা করিয়ে জিকিরের ত’লিম দেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সকাল-সন্ধ্যা জিকির ও অজিফা পালনের মাধ্যমে তরীকা মশকের নির্দেশ দেন। কেননা তরীকা চর্চা করার মাধ্যমে একজন মানুষ আদববান মানুষে পরিণত হতে পারে। তরীকা কখনোই বেয়াদবী শিক্ষা দেয়না।
হযরত পীর ছাহেব কেবলা সকলকে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সংগঠনভুক্ত হয়ে তা’লিমী জলসা কায়েমের, দ্বিনীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও এতে সন্তানদের ভর্তি করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও আগামী মাহফিলে সকলকে আসার জন্য দাওয়াত দেন।
গতকাল বাদ জুমআ আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তিনদিনব্যাপী ছারছীনা দরবার শরীফের বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব মাহফিল। আখেরী মুনাজাতে শরীক হবার জন্য দক্ষিীন বঙ্গের অনেক জাতীয় নের্তৃবৃন্দ দরবার শরীফে তাশরীফ নেন। আখেরী মুনজাতের প্রাক্কালে তারা সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তারা তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন- বাংলাদেশে বহু দরবার রয়েছে। তবে ছারছীনা দরবার শরীফ সকলের থেকে ব্যতিক্রম। ছারছীনা দরবার শরীফ কোন প্রকার দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে ছারছীনা দরবার শরীফের ভূমিকা সর্বদাই ইতিবাচক। বিভিন্ন সময়ে শসকবর্গকে বুঝিয়ে দেশ ও ইসলামের কল্যাণে অত্র দরবার শরীফ যে অবদান রেখেছে তা অন্য কোন দরবার রাখতে পারেনি।
উপস্থিত নের্তৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ আফজাল হোসেন, পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস. এম. শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অদ্যক্ষ মুহিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য বরিশাল-২ মনিরুল ইসলাম মনি, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছারছীনা মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র প্রফেসর ড. মোঃ আবদুর রশিদ, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজি, নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হক, স্বরূপকাঠী পৌর মেয়র গোলাম ফারুক, এছাড়াও বিভাগীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।
আখেরী মুনাজাতে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। দোয়ার সময়ে লাখো জনতার ক্রন্দনে এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। মুনাজাতে পীর ছাহেব কেবলা বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ করে ফিলিস্তিনের বিপন্ন মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য দোয়া করেন । দোয়ার সময়ে উপস্থিত জনতার আমীন আমীন ধ্বনীতে আকাশ-বাতাস ভখারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। মুনাজাত শেষে এক অনাবিল প্রশান্তি নিয়ে লাখো লাখো জনতা নিজ নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের উদ্দ্যেশ্যে মাহফিল ময়দান ত্যাগ করেন।