// রানা আহম্মেদ অভি, ইবি ।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ ইবি শাখার আয়োজনে কর্মশালা ও ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২ টার সময় সাদ্দাম হোসেন হলের গেস্ট রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ এর ইবি শাখার সমন্বয়কারী মোতালেব বিশ্বাস লিখনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ যশোর অঞ্চলের একাউন্ট অফিসার অধীশ দাস, যশোর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ফিরোজ হোসেন পলাশ, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহমুদ, যশোর অঞ্চলের সাবেক সমন্বয়কারী দিবা রাত্রি, এছাড়াও ইবি শাখা ইয়ূথের ফয়সাল, মানজির আহসান, রায়হান, রজনী, মিজান, সবুজ ও তামান্না সহ প্রায় ২৫ জন সদস্য।
এসময় কর্মশালায় ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত ও ধারণা প্রদান করেন যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ফিরোজ হোসেন পলাশ। সেইসাথে বাংলাদেশের ইয়ূথ হিসেবে একজন ইয়ূথের কি কি সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এবং কিভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা যায় নিজ নিজ জায়গায় থেকে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। এছাড়া পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে কি কি সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজ করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
এবিষয়ে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ ইবি শাখার সমন্বয়কারী মোতালেব বিশ্বাস লিখন বলেন, ‘আমরা ইয়ূথ হিসেবে প্রতিজ্ঞা করছি সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক অনেক কাজে আমরা ইবি শখার সদস্যরা কাজ করব এবং কিভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায় সেগুলো নিয়ে আমরা সচেতন হওয়ার জন্য প্রচারণামূলক কাজ করব। এছাড়াও পিছিয়ে পড়া অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, ‘ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশ’ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’র অনুপ্রেরণায় সৃষ্ট একটি ছাত্র সংগঠন। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেই এ সংগঠন পরিচালিত। এ সংস্থার প্রতিটি সদস্য নিজের উন্নত ভবিষ্যৎ নিজে গড়তে এবং অন্যকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুধামুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রত্যাশার লক্ষ্যে এটি পরিচালিত। ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন দেশের অন্যতম একটি স্বেচ্ছাব্রতী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।